শ্যামল কান্তি ইসলাম অবমাননা করে কী বলেছেন?

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে একজন সংসদ সদস্য কানধরে ওঠবস করিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো ইসলাম অবমাননার। তিনি কি আসলেই ইসলাম অবমাননাকর কিছু বলেছিলেন? বললে সেটা কী ছিলো?

এ বিষয়ে আজ আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যম বিস্তারিত প্রতিবেদন করেছে। তা থেকে জানা গেছে, একজন শিক্ষকের ক্লাস হচ্ছিলো। সেই ক্লাসে খুব বেশি কথা বলছিলো শিক্ষার্থীরা। বাইরে থেকেই শোনা যাচ্ছিলো হট্টগোল।

পরে দশ শ্রেনির ওই ক্লাসে প্রবেশ করেন প্রধান শিক্ষক। গিয়ে বলেন, ‘তোদের আর পড়াশোনা হবে না। তোরা খুব বেশি কথা বলিস। তোরা শিক্ষকদের কথা শুনিস না। শুনবিই বা কিভাবে? তোদের আল্লাহ নাপাক, তোরাও নাপাক।’

এরপরই মূলত জনরোষের মুখে পড়েন শ্যামল কান্তি। তিনি যে ক্লাসঘরে ঢুকে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন, তা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমটিকে বলেছে ওই ক্লাসেরই শিক্ষার্থী মো. মৃদুল। এমন কি তিনি দাবি করেছেন, দশম শ্রেনির একশ জনের বেশি শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের ওই মন্তব্য শুনেছেন।

একই দিন শ্যামল কান্তি দশম শ্রেনিরই রিফাত হাসান নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। পরে শিক্ষার্থীকে পেটানো, ধর্ম অবমাননা এবং আরো কয়েকটি কারণ দেখিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটি শ্যামল কান্তিকে চাকরিচ্যুত করে।

এর আগে ক্লাসঘরে ইসলাম অবমাননাকর মন্তব্য করার পরই গ্রামের মসজিদে এ কথা ঘোষণা করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজিত জনতা স্কুলে ভিড় করে। কেউ কেউ নাকি শিক্ষকদের কক্ষে ঢুকে শ্যামল কান্তিকে মারধরও করেন।

এ পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি হামিদকে ডাকা হয়। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই তাকে ডাকা হয় সেখানে। পরে তিনি সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে ডেকে আনেন। তারপরও জনরোষের আশঙ্কা থাকায় শ্যামল কান্তিকে কান ধরে ওঠবস করান সেলিম ওসমান।

এ দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস করানোর প্রতিবাদ চলছে জোরেসোরে। অনেকে নিজে কান ধরে ছবি তুলে করছেন অভিনব প্রতিবাদ। কিন্তু শ্যামল কান্তি যে ইসলাম অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, এ বিষয়টি পড়ে যাচ্ছে আড়ালে। 

আপনি আরো পড়তে পারেন

রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না

অনলাইন অর্ডারে ওয়ালটনের 'ভয়ঙ্কর' সেবা!

এবার চাকরি খোয়ালেন সেই শিক্ষক

অধ্যাপক সিদ্দিকী খুন: আরো চারজন আটক