গরমকালে ত্বকের ফেসিয়াল

অন্যান্য সময়ের তুলনায় গরমে ত্বকের একটু বেশিই যত্ন নিতে হয়। এ সময় অতিরিক্ত ঘামের কারণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায় না। আবার ত্বকেও আর্দ্রতা থাকে না। মুখের সৌন্দর্যে দরকার মসৃণ ত্বকের আর এর জন্য ফেসিয়ালের তুলনা নেই।

পার্লারে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ না করে বাড়িতে নিজেই করে নিতে পারেন ফেসিয়াল। দেখে নিন ফেসিয়ালের ধাপগুলো-

ক্লিনজিং

প্রথমে মুখে পানির ঝাপটা দিন। এবার হালকা কুসুম গরম পানিতে মাঝারি আকারের তোয়ালে ভিজিয়ে চিপে ত্বকে গরম ভাপ নিন। এটি মুখের লোমকূপ খুলে দিতে সাহায্য করে। এরপর ক্লিনজার দিয়ে হালকা মুখ ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে নিন। ক্লিনজার না থাকলে দুধে তুলা ভিজিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

ম্যাসাজ

ত্বকের ধরণ অনুযায়ী যথেষ্ট পরিমাণ ফেসিয়াল ক্রিম নিয়ে ত্বকে হালকা হাতে চোয়ালের নিচ থেকে উপরের দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন দশ মিনিট। এতে লোমকূপের ভেতর থেকে ময়লা বের হয়ে আসবে।

স্ক্র্যাবিং

ম্যাসাজ ক্রিম দিয়ে ম্যাসাজের পরের ধাপ হল স্ক্র্যাবিং। স্ক্র্যাব দিয়ে মুখ আলতো হাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষুন। বেশী জোরে ঘষবেন না। তারপর সহনীয় গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন।

টোনিং

ফেসিয়ালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল টোনিং। ঘরে বানানো টোনার ব্যবহার করতে চাইলে ভিনেগার ও গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরি করে ফেলুন প্রাকৃতিক টোনার। তুলা দিয়ে টোনার মুখে লাগাবেন কিন্তু কোনমতেই ঘষবেন না। চোখের চারপাশ বাদ দিয়ে টোনার লাগান।

মাস্ক বা প্যাক

ফেসিয়ালের শেষ ধাপ হল মাস্ক বা প্যাক। ভিন্ন ভিন্ন ধরণের ত্বকের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মাস্ক, প্যাক। এখানে সব ধরণের ত্বকের জন্য দেওয়া হল একটি মাস্ক-

একটা শসার রসের সাথে এক চামচ চিনি ভালো করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। এটি দশ মিনিট ত্বকে রেখে ধুয়ে নিন। শসার রস ত্বককে হাইড্রেট করে, ফলে ত্বক অনেক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।

মাস্ক ব্যবহারের পর চাইলে প্যাক কিংবা শুধু প্যাকও লাগাতে পারেন। কার্যকরী একটি প্যাক হল- সমপরিমাণ মুলতানি মাটি, গ্রিন টি ও ঘৃতকুমারীর রস মিশিয়ে প্যাকটি মুখে ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আয়নার সামনে দাঁড়ালে পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন। এই গরমে সচেতন থাকুন, নিজেকে সুন্দর রাখুন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

নখের দাগছোপ দূর করুন

বৃষ্টিরদিনে আপনার সাজসজ্জা

যেভাবে উপভোগ করতে পারেন গরমকাল