তেহরানে বিমান বিধ্বস্ত, ১৮০ আরোহীর সবাই নিহত

ইরানের রাজধানী তেহরানের ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৮০ আরোহীর সাবাই নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোর ৬টায় ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে আলজাজিরা ও রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে কিয়েভ যাওয়ার পথে তেহরানের দক্ষিণপশ্চিমে পারান্দ শহরে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হওয়ায় আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই।

ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার মুখপাত্র রেজা জাফরজাদে জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল দপ্তরের তদন্ত টিম কাজ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

বোয়িংয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ দুর্ঘটনার খবর সংবাদমাধ্যমে আসার পর থেকেই নজর রাখছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আরো তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

রাডারের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের পিএস৭৫২ ফ্লাইটটি ভোর ৬টায় ১৮০ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে যাত্রা করার তিন মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয়।

ইরানি গণমাধ্যম বলছে, ইরাকে মার্কিন দুই ঘাঁটিতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দু দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের হামলার ঘটনার সঙ্গে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কোনো সম্পার্ক নেই। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

এদিকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ওই অঞ্চলের আকাশসীমা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। মার্কিন বিমানগুলোকে ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে আজ বুধবার ভোরে এক ঘণ্টার ব্যাবধানে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে দুই দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। এতে হতাহতের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি। ইরাকে ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাশেম সোলায়মানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাশেম সোলায়মানিসহ ৫ জনকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। নিহতদের মধ্যে ইরাকি শিয়া মিলিশিয়ার শীর্ষ কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসও ছিলেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে।