তানভীর হাসান জোহাকে চেনে না আইসিটি বিভাগ

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় গণমাধ্যমে বিশেষজ্ঞ মতামত দেওয়া তানভীর হাসান জোহার সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উল্লেখ্য, রিজার্ভ থেকে টাকা খোয়ানোর বিষয়ে গণমাধ্যমে আইসিটি বিভাগের সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট ও বাংলাদেশ সরকারের তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে তানভীর হাসান জোহা বিশেষজ্ঞ মতামত দেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, আইসিটি বিভাগের সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট হিসেবে তানভীর হাসান জোহা কর্মরত নন। আর এখন পর্যন্ত হ্যাকিংয়ের ঘটনা অনুসন্ধানে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি বলেও জানানো হয়। এছাড়া বিষয়টিকে সরকার খুবই উদ্বেগজনক হিসেবে বিবেচনা করছে বলে উল্লেখ করা হয়।

আজ সোমবার পাঠানো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণরত) মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,

‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণরত) মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের “বাংলাদেশ ব্যাংক’’-এর অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করা হয়েছে মর্মে প্রচারমাধ্যমে (প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া) সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এই ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রকাশিত ও প্রচারিত কিছু সংবাদ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের গোচরীভূত হয়েছে। এতে তানভীর হাসান জোহা নামক এক ব্যক্তিকে আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তা বলে অভিহিত করা হচ্ছে। সরকারের আইসিটি বিভাগ এই ঘটনাকে খুবই উদ্বেগজনক হিসেবে বিবেচনা করছে এবং এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঠিক ও অর্থবহ তথ্য প্রদান করা যুক্তিসংগত বলে মনে করছে। প্রকৃতপক্ষে এই অর্থপাচার বা হ্যাকিংয়ের ঘটনা অনুসন্ধানে আইসিটি বিভাগ কর্তৃক কোনো তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি। এমনকি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবেও আইসিটি বিভাগ কোনো অনুসন্ধান কার্যক্রমে জড়িত নয়। তানভীর হাসান জোহা নামের কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আইসিটি বিভাগের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই এবং আইসিটি বিভাগের সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট বা সাইবার সিকিউরিটি ফোকাল পয়েন্ট বা সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের ডিরেক্টর (অপারেশন) হিসেবেও কর্মরত নন। এ ধরনের সংবাদে আইসিটি বিভাগ বিস্মিত। এই নামের কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ড দ্বারা কোনো মহল বা প্রতিষ্ঠান প্রভাবিত বা প্ররোচিত বা প্রতারিত হলে তার দায়দায়িত্ব আইসিটি বিভাগ বহন করবে না। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ বিষয়ে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান: দুর্নীতিবাজদের জন্য দুদক হবে আতঙ্কের

বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে দুদক

ফিলিপাইন থেকে ফেরত এসেছে ৬৮ হাজার ডলার