নির্বাচন করতে পারবেন জামায়াতের ২৫ প্রার্থী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন। তবে এ আদেশে জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এদিন সকালে ইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের ওপর শুনানি হয়। শুনানিতে বাদি পক্ষের আইনজীবী তানিয়া আমীর আদালতকে জানান, জামায়াতের গঠনতন্ত্র গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ সংগঠনে অমুসলিমরা সদস্য হতে পারে না। তারা সংসদেই বিশ্বাসী নয় তাহলে তারা কীভাবে নির্বাচন করতে পারে।

গেলো ২৩ ডিসেম্বর জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর প্রার্থিতা বহাল রাখে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট করেছিলেন আওয়ামী লীগের শরিক দল তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, মো. আলী হোসেন, মো. এমদাদুল হক ও হুমায়ুন কবির।

ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রার্থী হওয়া জামায়াতের ২২ প্রার্থী হলেন- ঢাকা-১৫ আসনে ডা. শফিকুর রহমান, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে শামসুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ, কুমিল্লা-১১ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, খুলনা-৫ মিয়া গোলাম পরোয়ার, খুলনা-৬ আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ-৩ মতিয়ার রহমান, বাগেরহাট-৩ ওয়াদুল শেখ, বাগেরহাট-৪ আসনে আবদুল আলীম, যশোর-২ আবু সাঈদ মো. শাহাদাত হোসাইন, সিরাজগঞ্জ-৪ রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৩ আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা-৫ ইকবাল হোসাইন, ঠাকুরগাঁও-২ আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ আবু হানিফ, দিনাজপুর-৬ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, নীলফামারী-২ মো. মনিরুজ্জামান।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া তিনজন হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে নুরুল ইসলাম বুলবুল, চট্টগ্রাম-১৬ জহিরুল ইসলাম, পাবনা-১ আসনে নাজিবুর রহমান মোমেন।