সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াবে আওয়ামী লীগও

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে তরুণদের বিনা জামানতে ও সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা প্রদান বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

আজ মঙ্গলবার হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ক্ষমতাসীন দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া আত্মকর্মসংস্থান ও তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি, তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা ও আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে ও সহজ শর্তে জনপ্রতি ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা ইতোমধ্যে প্রদান করা হচ্ছে।

প্রায় ৫ কোটি ৩০ লাখ তরুণদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ আবারও সরকার ক্ষমতায় গেলে তরুণরা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রয়োজন ও তরুণদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির জন্য আবেদন করার আহ্বান জানাতে পারবে। বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল নাগাদ অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে।

এ ছাড়া বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মধ্যে নতুনভাবে ১ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার মানুষ শ্রমশক্তিতে যুক্ত হবে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে যারা সম্ভাবনার ছাপ রাখতে সক্ষম হবে তাদের জন্য আর্থিক, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা হবে। তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রণয়ন করা হবে একটি যুগোপযোগী ‘তরুণ উদ্যোক্তা নীতি’।

বলা হয়েছে তরুণদের সুস্থ বিনোদনের জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ‘যুব বিনোদন কেন্দ্র’ গড়ে তোলা হবে। যেখানে থাকবে বিভিন্ন ইনডোর গেমসের সুবিধা, মিনি সিনেমা হল, লাইব্রেরি, মাল্টিমিডিয়া সেন্টার, সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্নার, মিনি থিয়েটার ইত্যাদি।

ইশতেহারে স্বল্প খরচে তরুণদের ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা দিতে 'ইয়ূথ প্ল্যান' চালু করার কথা বলেছে আওয়ামী লীগ।

উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল ঐক্যফ্রন্ট নিজেদের ইশতেহার প্রকাশ করে। ওই ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা উঠিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় জোটটি।