আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠেকাতে পুলিশকে নির্দেশ!

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠেকাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশের পুলিশ সুপার থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী।

তবে বৈঠকে এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে কি না -সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়েই কথা হয়েছে। এর বাইরে কিছু হয়নি।

কিন্তু বৈঠক সূত্র জানায়, গতকালের বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, তাদের তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এছাড়া তারা যেন কোনো সহিংস ঘটনা ঘটাতে না পারেন, সে ব্যাপারে নজর রাখতে হবে।

এছাড়া বৈঠকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠেকানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয় বলেও জানা গেছে। এ সময় পুলিশের আইজিপি পুলিশকে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থীদের বোঝাতে এবং শান্ত রাখার নির্দেশ দেন। বিদ্রোহী প্রার্থীরা যাতে উত্তপ্ত অবস্থা তৈরি করতে না পারেন, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলেন। একইসাথে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের সম্পর্কেও খোঁজখবর রাখতে নির্দেশ দেন।

পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী, পুলিশ সদর দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি ও বিভিন্ন মহানগর পুলিশের কমিশনার এবং মাঠপর্যায়ে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন এমন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকানো পুলিশের কাজ কি না -প্রশ্ন করা হলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মুহা. নুরুল হুদা বলেন, যদি কিছু লোক আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে, এমন তথ্য পুলিশের কাছে থেকে থাকে তো পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আমি তো উদ্দেশ্য খারাপ কিছু দেখি না।

এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিকের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি এ ধরনের আলোচনা হয়ে থাকে তাহলে বলতে হবে, এই পদক্ষেপের পরিকল্পনা সরকারি কর্মচারী হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব–কর্তব্যের শুধু বরখেলাপই না, এটা সম্পূর্ণভাবে শৃঙ্খলাবিধির লঙ্ঘন।