‘একচেটিয়া আধিপত্য’ রুখে দিতে চান বি চৌধুরী

ক্ষমতা ও রাজনীতির ভারসাম্য আনতে চান সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। এ লক্ষ্যে তিনি যুক্তফ্রন্ট নামে একটি জোটও গঠন করেছেন। পরে ড. কামাল হোসোনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে মিলে বৃহৎ জোট করার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু বেশি আসন চেয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ছিটকে পড়েন বি চৌধুরী। এরপর তিনি ভিড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারি জোটে। এখানেও তিনি পাঁচ দফার ভিত্তিতে সংসদে সরকারি দলের একচেটিয়া আধিপত্য রুখতে ছোট দলগুলোর জন্য বেশি আসন চাচ্ছেন। কিন্তু তার জোটকে তিনের বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয় আওয়ামী লীগ।

এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল বুধবার রাজধানীর বাড্ডায় বিকল্পধারার নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন বি. চৌধুরী। সেখানে তিনি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বাঁধার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে ক্ষমতাসীন জোট থেকে কতটি আসনে ছাড় পেয়েছেন সে বিষয়ে কিছুই জানাননি বি চৌধুরী।

এর আগের দিন মঙ্গলবার গণভবনে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বি চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সেই পুরোনো ‘ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা’র কথাই বলেন।

বি চৌধুরী বলেন, ‘সরকার গঠন করতে যাওয়া দলকে শরিকদের বেশি সংখ্যক আসন দিয়ে ভারসাম্য আনতে হবে। আমরা কোনো দলের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে বিকল্প ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করব।’

বিকল্পধারার নেতারা জানিয়েছেন, যুক্তফ্রন্ট ২৫টি আসনে ছাড় চেয়ে একটি তালিকা আওয়ামী লীগের কাছে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এ নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চললেও আশানুরূপ ফল মেলেনি।

এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বেশ কিছু দিন ধরে বলে আসছেন, ৩০০ আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টিসহ অন্য শরিকদের জন্য ৭০টির মতো আসন ছাড় দেয়া হবে।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ৭০টির মধ্যে ৪০টি আসন জাতীয় পার্টি’র জন্য ছাড়ার পরিকল্পনা থাকলেও তারা ৫৫টি পাওয়ার জন্য দর কষাকষি করছে। আওয়ামী লীগের জোটে পুরোনো শরিক ১৪ দলকে ২০টি এবং অন্য কয়েকটি ছোট জোট ও দলকে গোটা দশেক আসন ছাড়া হতে পারে। এর মধ্যে নতুন শরিক বিকল্পধারা ৩টির মতো আসন পেতে পারে।