বছরে পাঁচজন পাবেন ‘মাদার অব নিউম্যানিটি’

অনগ্রসর, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য নির্বাচিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে 'মাদার অব হিউম্যানিটি' সমাজকল্যাণ পদক দেবে সরকার। প্রতি বছর পাঁচ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেওয়া হবে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে 'মাদার অব হিউম্যানিটি কমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা ২০১৮' এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

মিয়ানমারের নির্যাতিত রাখাইনদের বাংলাদেশে জায়গা দেওয়ার জন্য গত বছর যুক্তরাজ্যভিত্তিক ‘চ্যানেল ফোর’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ অভিধায় ভূষিত করে। সেই নামেই এই পদকটি চালু করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ বলতে প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উনাকে যে মাদার অব হিউম্যানিটির স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সেটার প্রতিফলন হিসেবে…।' শফিউল আলম জানান, এই পুরস্কারটি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকের সমমানের হবে।

পদক দেওয়া হবে যে পাঁচ ক্ষেত্রে

ক) বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনে অবদান।

খ) প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা, আত্মনির্ভরশীলকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

গ) প্রতিবন্ধী ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণ, জীবনমান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, ইনক্লুসিভ শিক্ষা বাস্তবায়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান।

ঘ) সুবিধাবঞ্চিত, আইনের সংস্পর্শে আসা, আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু, কারামুক্ত কয়েদি, ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিদের কল্যাণ, উন্নয়ন, পুনঃএকত্রীকরণ।

ঙ) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এমন কোনো কর্ম যা সমাজের মানুষের মেধা ও মননের বিকাশ, জীবনমান ও পরিবেশের উন্নয়ন, সমাজবদ্ধ মানুষের শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সর্বোপরি মানবকল্যাণ ও মানবতাবোধে সমাজ বা রাষ্ট্রকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করার কার্যক্রম।