হজ ফ্লাইট শুরু ২৯ এপ্রিল, ১০ হাজার মুসল্লির হজযাত্রা অনিশ্চিত

এবার পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২৯ এপ্রিল। মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এখনো ১০ হাজার ৪৮৭ হজযাত্রীর জন্য বাড়ি ভাড়া করা সম্ভব হয়নি। এসব হজযাত্রীকে নিয়ে বিপাকে রয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এবার হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন ৮৭ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮১ হাজার ৯০০ জন। তবে হজ এজেন্সিগুলোর অবহেলার কারণে ১০ হাজার ৪৮৭ জনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ৫ হাজার ২০০ হজযাত্রীর জন্য আমরা সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা; যেমন মিনা ও আরাফাতে তাঁবু বরাদ্দ এবং ক্যাটারিং সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি, বাড়ি বা হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি, পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি অনেক আগেই সম্পন্ন করেছি। আমাদের হজযাত্রীরা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে ফ্লাইট সিডিউল মোতাবেক সৌদি আরব গমন করবেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এবারের হজযাত্রীদের একটি বিরাট অংশ অর্থাৎ ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রী বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজব্রত পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। সৌদি সরকারের এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর বাধ্যবাধকতার কারণে মোট ৭৫৩টি এজেন্সির অধীনে নিবন্ধিত এসব যাত্রী ৭০টি লিড এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করবেন।

ধর্ম উপদেষ্টা জানান, এখনো ১০ হাজার ৪৮৭ হজযাত্রীর জন্য বাড়িভাড়া করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে মক্কায় ৭ হাজার ২৭৪ এবং মদিনায় ৩ হাজার ২১৩ হজযাত্রী রয়েছেন।

উপদেষ্টা বলেন, সর্বশেষ ৭ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে জুম প্ল্যাটফরমে সভা করেছেন। এজেন্সির দেওয়া তথ্যানুসারে, ৮ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মক্কায় ১ হাজার ১২৬ এবং মদিনায় ১ হাজার ৬৭ হজযাত্রীর নুসুক মাসার প্ল্যাটফরমে হোটেল বা বাড়ি ভাড়ার রিকোয়েন্ট এখনো সাবমিট করা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে অব্যাহতভাবে অনলাইন প্ল্যাটফরমে বাড়ি ভাড়ার রিকোয়েস্ট সাবমিট করার জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি ভাড়া চুক্তি সম্পাদন করেনি এরূপ এজেন্সিগুলোকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, কতিপয় হজ এজেন্সির কমিটমেন্ট ও দায়বদ্ধতার অভাবে এখনো বেসরকারি মাধ্যমের ১০ হাজার ৪৮৭ হজযাত্রীকে নিয়ে আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো এজেন্সির অবহেলা বা গাফিলতির কারণে একজন হজযাত্রীও যদি হজ করতে না পারেন, সে দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে। কোনো এজেন্সির অবহেলা ও দায়িত্বহীনতাকে ধর্ম মন্ত্রণালয় বরদাশত করবে না।