সমাবেশে আসা বিএনপির ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

কয়েক দফা তারিখ পেছানোর পর রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। জনসভায় সাত দফা দাবি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানায় বিএনপি। এদিকে জনসভায় অংশ নিতে আসা বিভিন্ন পর্যায়ের ৪৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে বিএনপির দাবি আটকের সংখ্যাটা আরো বেশি।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক ৪৫ জনের মধ্যে শাহবাগ থানায় ৩৫ জন ও রমনা থানায় ১৫ জন  আছেন। শাহবাগ থানার এসআই ভোজন কুমার সরকার জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ ও আশপাশের এলাকা থেকে তাদের মোট ৩৫ নেতাকর্মীকে নিয়ে আসা হয়েছে। আটককৃতদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। আর রমনা থানায় ১৫ জন আটক আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম।

কাজী মাইনুল জানান, রোববার দুপুরের পর তাদের আটক করা হয়েছে। তারা সবাই থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মী। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের আটক করা হয়েছে।

এদিকে বিএনপি বলছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা থেকে বের হয়ে যাওয়া বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ‘অভিনব’ কায়দায় আটক করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, বিকাল তিনটার পর মৎস্য ভবনের সামনে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা শিল্পকলা একাডেমি হয়ে সেগুনবাগিচার দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ দফায় দফায় ২৫-৩০ জনকে আটক করে। সাদা পোশাকেও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

খিলগাঁও থানা ছাত্রদল কর্মী শাহাদাত হোসেন জানান, সভাস্থল থেকে বের হওয়ার পর বিজয় নগরের দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ নেতা-কর্মীদের আটক করে গাড়িতে তুলে পুলিশ। আরেক ছাত্রদলকর্মী বলেন, 'বিশেষ কায়দায় পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করেছে। কোন দোষ না থাকলেও পুলিশের গাড়ির সামনে দিয়ে যারাই গেছে তাদের আটক করেছে।'