১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস বাবর, তারেকের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল

অবৈধ অস্ত্র মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবরকে ১৭ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তার সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এদিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর

সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৭ মে বাবরের গুলশানের বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এসময়ই আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। পরদিন ২৮ মে বাবরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় ওই বছরের ৩ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা হয়। ঢাকার মহানগর ৯ নম্বর বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালত বিচার শেষে একই বছরের ৩০ অক্টোবর বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।

বাবরের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ২০০৭ সালেই আপিল করেছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই আপিলের শুনানি শেষে আজ বুধবার রায় দিলেন হাইকোর্ট।

এদিকে অন্যান্য মামলায়ও বাবরের বিভিন্ন দণ্ড হয়। সেই সব মামলা থেকে খালাস ও জামিনের পর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি কারামুক্তি পান বাবর।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আপিল রাষ্ট্রপক্ষের:

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্র বুধবার (১৯ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এই শুনানি হতে পারে।

এর আগে, গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন সমন্বয়ে বেঞ্চ ওই মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং ৩ শতাধিক লোক আহত হন।

ওই ঘটনায় মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। এছাড়া বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট জানান, মামলায় বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ, কেননা তা অবৈধ উপায়ে দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেন রাষ্ট্রপক্ষ।