ফখরুল: নেত্রীর মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথম শর্ত হিসেবে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই বাংলাদেশের যেকোনো নির্বাচন আয়োজনের প্রথম পূর্ব শর্ত হলো খালেদা জিয়ার কারামুক্তি।’ খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে দেশের জনগণ কোনো নির্বাচন আয়োজন করতে দেবে না বলে সতর্ক করেন ফখরুল।

তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অবশ্যই পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং ভোটের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

বিশ্বাসযোগ্য পন্থায় নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে বাধ্য করতে বিএনপি নেতা সকল রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবীদের জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বান জানান.। এসময় নতুন জোট গঠন করায় ৮টি বামদলকে অভিনন্দন জানান ফখরুল। অন্যান্য রাজনৈতিক দল বর্তমান সরকারের ‘অপশাসন’ থেকে জনগণকে মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তার সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মী বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। এর আগে বিএনপি ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে সর্বশেষ সমাবেশ আয়োজন করেছিল।

স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমাবেশ সফল করায় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব। এসময় ‘স্বৈরশাসকের’ পতন ঘটিয়ে জনবান্ধব সরকার গঠনে তীব্র আন্দোলনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে বলেন তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের স্বর্ণ কেলেংকারি নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, সরকারের নৈরাজ্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের ‘ব্যাপক লুটপাট’ দেশের অর্থনীতি এবং ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রয় এবং আব্দুল মঈন খান ও অন্যান্য সিনিয়র নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।