মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দুই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

কুষ্টিয়া ও ময়মনসিংহে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে পৃথক দুটি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, রোববার দিবাগত রাত ২টায় কুষ্টিয়া সদরে এবং রাত পৌনে ২টায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।

কুষ্টিয়ায় নিহত ব্যক্তি শহর আলী (৩৮) শহরের মজমপুর এলাকার মনোয়ার বক্সের ছেলে। আর ময়মনসিংহে নিহত খান নোমান (৪৫) শহরের সেনবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা।

পুলিশ বলছে, নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের গুলিবিনিময়ের ঘটনায় এই দুই ব্যক্তি নিহত হন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিনের ভাষ্য, শহরতলীর হরিপুর শেখ রাসেল সংযোগ সেতুর নিচে একদল মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা কেনাবেচা করছে সংবাদ পায় পুলিশ। রাত ২টায় সেখানে পুলিশের একটি টহল দল গেলে গুলি ছুড়ে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ শহর আলীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নিহত শহর আলীর বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এক ডজন মাদকের মামলা রয়েছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন ওসি।

এদিকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, রাত পৌনে ২টার দিকে সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জের রঘুরামপুর গ্রামে মাদক ভাগ-ভাটোয়ারা করছে মাদক ব্যবসায়ীরা- এমন খবরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।

মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে প্রথমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পরে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে মাদক ব্যবসায়ী নোমানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

ঘটনাস্থল থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি আরো বলেন, নোমানের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। খবর: ইউএনবি।