উইন্ডোজ টেন এর সমালোচনায় মজিলা

মাইক্রোসফটের সদ্য রিলিজ হওয়া উইন্ডোজ টেন এর কিছু বিষয়াদি নিয়ে সমালোচনায় নেমেছে ব্রাউজার মজিলা। এ সমালোচনার অন্যতম কারণ হচ্ছে উইন্ডোজের আগের সংস্করণের চেয়ে কিছু বিষয়ে জটিলতা আরো বাড়িয়েছে মাইক্রোসফট। তার মধ্যে নতুন এ সংস্করণে ডিফল্ট হিসেবে যে ব্রাউজারটি দেয়া আছে সেটি পরিবর্তন করার সহজ কোন অপশন রাখা হয়নি। ব্যবহারকারীরা যদি এটি পরিবর্তন করতে চায় তা হলে বেশ জটিল পথ দিয়েই এগোতে হবে তাকে। এটিই বেশি করে চোখে পড়েছে মজিলার। 

বলাবাহুল্য, উইন্ডোজের পুরোনো সংস্করণেগুলোতে ওয়েব ব্রাউজার, মিডিয়া প্লেয়ার এবং ক্যালেন্ডারের মত প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশগুলো একেবারে সহজেই পরিবর্তন করা যেত। কিন্তু উইন্ডোজ টেন এর ক্ষেত্রে এ সহজ পদ্ধতি আর রাখা হয় নি। এটি এখানে পরিবর্তন করতে গেলে বেশ কাঠখড়ই পোহাতে হবে ব্যবহারকারীকে। 

ডিফল্ট বাউজারের পরিবর্তন নিয়ে সম্প্রতি মজিলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস বেয়ার্ড এক ব্লগপোস্টে জানান, ‘উইন্ডোজ টেন ব্যবহারকারীদের ডিফল্ট ব্রাউজার পরিবর্তন করে ফায়ারফক্স, গুগলক্রোম এবং অন্যান্য ব্রাউজার ব্যবহার করতে বেশ বেশ জটিল পথেই এগোতে হবে। অর্থাৎ ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে অন্যকোন ব্রাউজার পরিবর্তন করে নিতে চাইলে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করেই এটি পরিবর্তন করে নিতে হবে। এটির জন্য ব্যবহারকারীর কিছু কারিগরী জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আর জ্ঞান না থাকলে বেশ বিভ্রান্তির মধ্যেই পড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।’

ক্রিস বেয়ার্ড আরো জানান,মাইক্রোসফট এটির ডিফল্ট ব্রাউজার পরিবর্তনের ফলে দ্রুত পপ-আপ সংস্করণটিও রাখতে পারে নি। মনে হচ্ছে, ‘উইন্ডোজ টেন এ মাইক্রোসফট ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে তাদের নতুন ব্রাউজার এজ’কে ব্যবহারকারীর ওপর এক প্রকার চাপিয়ে দেয়ারই চেষ্টা করেছে।’

দেখা যায়, উইন্ডোজ টেন এ যখন ডিফল্ট অ্যাপ সরিয়ে কোন ভিন্ন পার্টির অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার চেষ্টা করা হয়, তখন একটি সেটিংস পেজে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যবহারকারীকে। এটি নিয়ে মজিলা সমালোচনা করলেও মাইক্রোসফট দাবি করছে, নতুন কোন অ্যাপ ইনস্টলে এ পদ্ধতির ফলে ব্যবহারকারীর বাড়তি অ্যাপ ব্যবহারের আর ঝামেলায় পরতে হবে না।

আপনি আরো পড়তে পারেন

উইন্ডোজ টেন-এর পেছনের কারিগর

এবার রাস্তায় নামছে চালকবিহীন ট্রাক

বাড়ছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি