নির্ভার অস্ট্রেলিয়া, ফাইনালে চোখ নিউজিল্যান্ডের

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় ইংল্যান্ড। তাদের ঠিক বিপরীত মেরুতে অস্ট্রেলিয়া। হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তিন ম্যাচেই, সবার আগে উঠেছে ফাইনালে। রবিন লিগ রাউন্ডে নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচটা অজিদের জন্য শুধুই নিয়মরক্ষার। পার্থক্য- আগের ম্যাচকটা ঘরের মাঠে খেলেছে অস্ট্রেলিয়া, এবার খেলবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে; অকল্যান্ডে। বাংলাদেশ সময়ে শুক্রবার দুপুর ১২টায় মুখোমুখি হবে প্রতিবেশী দুই দল।

প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে সিডনি থেকে ৭ উইকেটের হার নিয়ে ঘরে ফিরেছে নিউজিল্যান্ড। ডি/এল পদ্ধতিতে বিশাল ব্যবধানে হারের জবাব সুযোগটা এবার ঘরের মাঠে পাচ্ছে কিউইরা। তবে ম্যাচটা ডেভিড ওয়ার্নারের দলের জন্য আনুষ্ঠানিকতার হলেও নিউজিল্যান্ডের কাছে আলাদা গুরুত্ব বহন করছে। সেদিনের হারের প্রতিশোধটা নিতে পারলে নিউজিল্যান্ড উঠে যাবে ফাইনালে। তাতে টিকে থাকার ক্ষীণ সম্ভাবনাটাও শেষ হয়ে যাবে ইংল্যান্ডের। উইলিয়ামসনরা জিতলে হ্যামিল্টনে টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ ম্যাচটা হবে শুধুই নিয়মরক্ষার।

ইংল্যান্ড আজ অস্ট্রেলিয়ার মঙ্গল কামনা করবে এটাই তো স্বাভাবিক। তবে এই ম্যাচে জিততে না পারলেও রোববার শিরোপা লড়াইয়ে ওঠার দ্বিতীয় সুযোগটা পাবেন কেন উইলিয়ামস অ্যান্ড কোং। দুদিন আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষের জয়টিই ফাইনালের দুটি রাস্তা খুলে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সামনে। তবে ফাইনালে ওঠাটা ইংল্যান্ডের জন্য বেশ কঠিন। রবিন লিগ রাউন্ডের শেষ ম্যাচে শুধু জিতলেই চলবে না, ইংলিশদের জয়ের সঙ্গে শর্তও জুড়ে দেওয়া আছে।

লড়াইটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য ফাইনালের অনুশীলন ম্যাচ। কিন্তু নিয়মরক্ষার ম্যাচেও তিল পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ সফরকারীরা। সিডনির মতো অকল্যান্ডেও দাপুটে জয়ের আশায় আছে অজিরা। এজন্য একটা পরিসংখ্যান নিজেদের পক্ষে পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। অকল্যান্ডে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষবার যখন অজিরা এসেছিল, তখন ৪৪ রানে জিতেছিল তারা। তবে সেই দলের একজনও অস্ট্রেলিয়ার এই দলে নেই। শুধু তাই নয়, অজিদের বর্তমান দলের মাত্র ৬ জনই এই ম্যাচের আগে ইডেন পার্কে এসেছিলেন।

তবে হোম ভেন্যু হলেও এই মাঠের অতীত ইতিহাস কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই যাচ্ছে। কুড়ি ওভারের যে ১৫টি ম্যাচ ইডেন পার্কে খেলেছে নিউজিল্যান্ড, তন্মধ্যে ৭টিতেই হেরেছে তারা। জয় মাত্র ৫টিতে। সংখ্যাটা বাড়িয়ে ছয়ে নিতে মরিয়া কিউইরা। আজ অকল্যান্ডে দারুণ কিছু করতে মুখিয়ে আছেন নিউজিল্যান্ডের নবাগত ক্রিকেটার মার্ক চ্যাপম্যানও। জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হলেও ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলতে উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি।

সম্ভাব্য একাদশ: নিউজিল্যান্ড: মার্টিন গাপটিল, কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেলর, মার্ক চ্যাপম্যান, কলিন ডি গ্রান্ডহোম, টিম সিফের্ট, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, ইশ সোধি, ট্রেন্ট বোল্ট।

অস্ট্রেলিয়া: ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), ডি’আরচি সর্ট, ক্রিস লিন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যারন ফিঞ্চ, মার্কাস স্টইনিস, অ্যালেক্স কেরি, অ্যাস্টন অ্যাগার,আন্দ্রে টাই, কেন রিচার্ডসন, বিলি স্ট্যানলেক