১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন নেহরা

নব্বইয়ের দশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করেছেন, এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজনকে এখনো দেখা যায় মাঠে। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন আশিস নেহরা। তবে আর খুব বেশি দিন নয়, এক নভেম্বরের পর নেহরাও হয়ে যাবেন সাবেক ক্রিকেটার। এরই মধ্যে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, পহেলা নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন তিনি।

ক্যারিয়ারজুড়ে ইনজুরির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে নেহরাকে। তার দুই পায়ে করা হয়েছে অন্তত ১২টি অস্ত্রোপচার। তারপরও বারবার ফিরে এসেছেন তিনি। বারবার পারফর্ম করেছেন জাতীয় দলের হয়ে। শরীরের প্রতি তার যত্নের উদাহরণ দিয়ে ভারতে তরুণ ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

আশিস নেহরা ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। বিশ্বকাপের ঠিক আগে ইনজুরিতে থাকলেও তিনি ঠিকই নিজেকে ফিট প্রমাণ করে দলে জায়গা করে নেন। সুপার স্টারের তকমা কখনো নেহরার গায়ে না লাগলেও নিভৃতে পারফর্ম করে গেছেন তিনি। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য ছিলেন নেহরা।

১৯৯৯ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় নেহরার। এরপর থেকেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলে নিয়মিত ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন নেহরা। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩ রানে ছয় উইকেট নেন তিনি। যা বিশ্বকাপে কোনো ভারতীয় বোলারের সেরা পারফর্মের রেকর্ড।

আশিস নেহরা ও জহির খান; এই জুই দীর্ঘদিন ভারতীয় পেস বোলিংয়ের মূল শক্তি ছিলেন। তাদেরকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে বহু ভারতীয় তরুণ। নেহরা ভারতের হয়ে মোট ১২০টি ওয়ানডে খেলেন। নেন ১৫৭টি উইকেট। ২৬টি টি-টোয়েন্টিতে তিনি নিয়েছেন ৩৪টি উইকেট। আইপিএল ও অন্যান্য ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে নেহরা খেলেছেন ১৩১টি ম্যাচ। নিয়েছেন মোট ১৬২টি উইকেট।