গাজায় ২৫ দিনে নিহত ১৫৪২ জন, শিশুই ৫০০

যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েলি হামলায় গত ১৮ মার্চ থেকে ২৫ দিনে গাজায় নিহত হয়েছে ১৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘ বলছে, এই নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ জনই শিশু। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, অন্তত ৩৬টি হামলায় কেবল নারী ও শিশুই নিহত হয়েছে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

ইসরায়েলি হামলায় পঙ্গু গাজার শিশু আবু আকলিন দেখছে নিজের কৃত্রিম পা

জাতিসংঘের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে গাজায় কমপক্ষে ৩৬টি ইসরায়েলি হামলায় কেবল ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুই নিহত হয়েছে। গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি হামলায় ১৫৪২ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ শিশু রয়েছে।

গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ৫০০ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে।

শনিবার ভোরে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন শিশুসহ কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। এতে আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ২০ জনেরও বেশি।

সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায়, গাজার তুফাহ পাড়ায় দুইজন নিহত ও দুইজন শিশু আহত হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত লাহিয়ার আল-আতাত্রা জেলায় আরও দুজন নিহত হয়েছে।

এছাড়া খান ইউনিসের দক্ষিণে কিজান আন-নাজ্জার এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত ১৮ মার্চ গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ১,৫৪২ জন নিহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলায়  ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ হাজার ৯১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮১ জন আহত হয়েছে।

নিহতের প্রকৃত সংখ্যা অবশ্য আরও অনেক বেশি। ফিলিস্তিনি সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা আপডেট করে জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজারের বেশি কেননা, ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির দেহ চাপা পড়ে রয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন,‘এটি যদি বর্বরতা না হয়, তাহলে আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, এটা কী?’