মার্কিন প্রস্তাব মেনে নিতে পারছে না রাশিয়া!

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা বর্তমান রূপে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। রাশিয়ার এক উচ্চপদস্থ কূটনীতিক জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনের প্রস্তাবে মস্কোর মূল উদ্বেগের বিষয়গুলো উপেক্ষিত হয়েছে, যা এই সংঘাতের মূল কারণ বলে রাশিয়া মনে করে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভের এই বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনা এখনও অচলাবস্থায় রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মস্কোর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি তিনি বলেন, পুতিনের ব্যাপারে তিনি খুবই ক্ষুব্ধ। রাশিয়া যদি কোনো চুক্তি বাস্তবায়নে গড়িমসি করে, তাহলে রাশিয়ার তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ রিয়াবকভ জানান, মস্কো এখনও কোনো চুক্তির দিকে এগোতে পারছে না। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা আমেরিকানদের প্রস্তাবিত মডেল ও সমাধানগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি, কিন্তু বর্তমান ফর্মে এগুলো আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমাদের মূল দাবি, অর্থাৎ এই সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধানের বিষয়টি তাদের প্রস্তাবে পুরোপুরিই অনুপস্থিত। এ বিষয়টিকে অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে।’

পুতিনের শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা ত্যাগ করতে হবে, রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দিতে হবে এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে সীমিত করতে হবে। কিন্তু কিয়েভ এই দাবিগুলোকে তাদের আত্মসমর্পণের শর্ত বলে অভিহিত করেছে।

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য সম্পর্কে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘আমরা মার্কিন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। ইউক্রেন ইস্যুটি অত্যন্ত জটিল এবং এর সমাধানের জন্য আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’

এর আগে ট্রাম্প ইউক্রেন সংকট সমাধানে রাশিয়ার প্রতি নমনীয় অবস্থান নিয়েছিলেন, যা পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল। তবে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টর মতো ইউরোপীয় নেতাদের চাপের পর ট্রাম্প এখন রাশিয়ার সঙ্গে কঠোর ভাষায় কথা বলছেন।