পোশাক খাতের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় দাবি

দেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকরা। শনিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নির্বাচনকেন্দ্রিক প্যানেল ‘ফোরাম’-এর আয়োজনে এক ইফতার অনুষ্ঠানে তারা এই দাবি জানান।

ছবি - সংগৃহীত

তারা বলেন, রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হলেও বৈশ্বিক ও স্থানীয় নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে এই খাতকে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদী নীতি প্রয়োজন, যার জন্য একটি পৃথক মন্ত্রণালয় অপরিহার্য।

ফোরাম প্যানেলের নেতা ও রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন পোশাক খাতের।

তিনি আরও বলেন, ‘এই খাতের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র সবসময়ই চলছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক অসন্তোষের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এর পেছনে রাজনীতি জড়িত কিনা তা তদন্ত করা উচিত।’

তিনি আরও দাবি করেন, শিল্প উদ্যোক্তাদের কাস্টমস পরিদর্শন ও হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত।

ফোরামের মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেন, গণমাধ্যমের খবর থেকে ৭০০ ভুয়া ভোটার শনাক্তের বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন।

‘তাদের ভোটদানের অধিকার বাতিল করা হয়েছে। এটা খুবই লজ্জাজনক যে, এই খাতে ভুয়া ভোটার রয়েছে। আমরা চাই আগামী নির্বাচন যেন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হয়। এই খাত ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়, আর বিজিএমইএকে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে পরিণত করা যাবে না।’

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে সরকারের জ্ঞান কম থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করা ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব।

‘বিজিএমইএকে একটি সংগঠন হিসেবে যেকোনো সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধানের জন্য ভূমিকা পালন করতে হবে।’

অপর এক সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, সঙ্কট মোকাবেলায় বিজিএমইএর দক্ষ নেতৃত্ব প্রয়োজন।

বিজিএমইএর আরেক সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, বছরের পর বছর ধরে জমে থাকা আবর্জনার ভার থেকে মুক্তি চান পোশাক শিল্প মালিকরা। ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে একটি স্বচ্ছ ভোট অপরিহার্য।

তিনি আরও বলেন, ‘একটি কারখানা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে কারণে অসুস্থ হতে পারে, কিন্তু সেখান থেকে বের হওয়ার কোনো নীতি নেই। আমরা সরকারের কাছে একটি বিস্তারিত এক্সিট নীতি প্রণয়নের আহ্বান জানাই। এছাড়াও, ন্যায্য দামের জন্য বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষি বাড়াতে হবে।’

শনিবার ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ২০২৫-২৭ মেয়াদের জন্য বিজিএমইএ নির্বাচন আগামী ২৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।