১৫ বছর পর শোলাকিয়া ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন মুফতি ছাইফুল্লাহ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমামতির দায়িত্বে পুনর্বহাল হলেন বরেণ্য আলেম মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। এর মধ্য দিয়ে ১৫ বছর পর তিনি এ মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব ফিরে পেলেন। রোববার (২ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদ-উল-ফিতরের ১৯৮তম জামাত উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ ও মুফতি ছাইফুল্লাহ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম হয়বতনগর এ ইউ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবুল খায়ের মোহাম্মদ নূরুল্লাহ একটানা ৩০ বছর ধরে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমামতি করেন। ২০০৩ সালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি এ দায়িত্ব থেকে সরে যান। পরের বছর থেকে তার ছেলে মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমামতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার মুফতি ছাইফুল্লাহকে ইমামতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় বেসরকারি এনজিও ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান বিতর্কিত আলেম ফরীদ উদদীন মাসউদকে। বিভিন্ন সময় তাকে ঘিরে নানা বিতর্ক গড়ে উঠলেও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত তিনিই এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও হয়বতনগর ইউ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবুল খায়ের মোহাম্মদ নূরুল্লাহ একটানা ৩০ বছর শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমামতি করেছিলেন। ২০০৩ সালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি এ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। পরের বছর থেকে তার ছেলে মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ এ দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

২০০৯ সালে তৎকালীন সরকার তাকে ইমামতির দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে ফরীদ উদদীন মাসউদকে নিয়োগ দেয়। ফরীদ উদদীন মাসউদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি নিরুদ্দেশ। এ পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজার মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহকে পুনরায় শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হলো।

ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঈদের জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের জন্য ‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।