স্মার্টফোনেই পাওয়া যাবে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস

ইন্টারনেট পৃথিবীকে ছোট করে দিয়েছে মানুষের কাছে। স্মার্টফোনের কল্যাণে প্রায় সব ধরনের সেবাই এখন পাওয়া যায় হাতের নাগালে। যে সব সেবা এখনো অধরা রয়ে গেছে সেগুলোও ক্রমান্বয়ে যুক্ত হচ্ছে ইন্টারনেটের বিশাল জগতে। গবেষকরা প্রায় প্রতিদিনই স্মার্টফোন নির্ভর কোন না কোন নতুন সেবার খবর জানাচ্ছেন। তার ধারাবাহিকতায়ই সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী জানালেন অবাক করা একটি সেবার কথা। স্মার্টফোনই নাকি জানিয়ে দেবে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস! বিষয়টি একটু অবাক হওয়ার মতই ব্যপার। স্মার্টফোনের ফিটনেস ট্র্যাকার প্রযুক্তির সাহায্যে এ সেবাটি জানা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তারা।

২০১৪ সালে ক্যালিফোরর্নিয়ার ন্যাপা ভ্যালিতে হওয়া ভূমিকম্প রিকটার স্কেলের ছয় মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। সে সময় ফিটনেস ট্র্যাকারের সাহায্যে মানুষের শরীরে ভূমিকম্পনজনিত যে পরিবর্তন হয় তা চিহ্নিত করে রেখেছেন গবেষকরা। বিজ্ঞানীরা  তাতে লক্ষ্য করে দেখেন যে, ভূমিকম্প হওয়ার পূর্বে সকালের দিকে মানুষের ঘুমের মধ্যে অন্যরকম পরিবর্তন এসেছিল। আর এটা তারা জানতে পারেন স্মার্টফোনের ফিটনেস ট্র্যাকারের সাহায্যেই। এ ব্যপারে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের গভেষকরা বলেন, স্মার্টফোনের যে জিপিএস প্রযুক্তির ব্যবহৃত হয় সেটি যেকোন একদিকের হঠাৎ পরিবর্তন হওয়াকে শনাক্ত করতে পারে। আর দেশের হাজার হাজার স্মার্টফোনে যদি কোন দিকের পরিবর্তন শনাক্ত হয় সেটিই হবে ভূমিকম্পের আগাম পূর্বাভাস।  

২০১১ সালে জাপানে হয়ে যাওয়া ভূমিকম্পের বিশ্লেষক ইউএসজিএসের বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ব্রুকস বলেন, 'স্মার্টফোনের এ ফিটনেস ট্র্যাকারের মাধ্যমে ভূমিকম্পের মাত্র ৫ সেকেন্ড পূর্বে পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। যদিও পাঁচ সেকেন্ড অনেক কম সময় তবুও ভূমিকম্পের পূর্বে নিজেকে নিরাইপদে সরিয়ে নিতে এই পাঁচ সেকেন্ডই যথেষ্ট।'

প্রয়োজনীয় এমন অনেক সেবাই মানুষের সামনে উপস্থাপন করে দিচ্ছে ইন্টারনেট। স্মার্টফোনের এ সেবাটি পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ব্যবহারকারীদের। বিজ্ঞানীরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, যথাযতভাবে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাসহ সবাইকে সেবাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

পানির নিচে বিক্ষোভ সমাবেশ

সেলফির জন্য বিশেষ স্টিক আনছে টুইটার

গাড়ি চুরি ঠেকানোর স্মার্ট প্রযুক্তি