লেবাননে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের উত্তেজনা, জেনারেল আউন এগিয়ে

লেবাননের সংসদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনার একদিন আগে বুধবার দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন নানা কর্মকাণ্ডে সরগরম ছিল। দীর্ঘ ২৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে লেবাননের রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য থাকার পর নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, যোগাযোগ এবং ঘোষণায় বুধবার দিনটি উত্তাল ছিল।

জোসেফ আউন

প্রতিবেদন অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ সমর্থিত প্রার্থী সুলাইমান ফ্রাঞ্জিহ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারেন। ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল জোসেফ আউন শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন।

মঙ্গলবার বৈরুতে পৌঁছানো ফরাসি দূত জঁ-ইভ ল্য দ্রিয়ান বৃহস্পতিবার সংসদীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অধিবেশনে যোগদান করবেন। তিনি বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক এবং সংসদ সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করে ‘কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই বিবেচনার জন্য’ আউনের নাম সুপারিশ করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও হিজবুল্লাহ এবং আমাল আন্দোলনের সংসদ সদস্যরা জেনারেল আউনের মনোনয়নের বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের যুক্তি, সেনাপ্রধান পদে থাকা অবস্থায় আউনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।

হিজবুল্লাহর সংসদীয় দলের প্রধান, সংসদ সদস্য মোহাম্মদ রাদ, ফরাসি দূতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বলেছেন, ‘লেবাননের জনগণ যদি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য একজনের নামে ঐক্যমতে পৌঁছায়, তাহলে হিজবুল্লাহ বাধা হবে না।’

মিডিয়ার মতে, হিজবুল্লাহ এবং আমালের সমর্থন পেলে আউন ১২৮ সদস্যের সংসদে ৯৫ ভোট পেতে পারেন, এমনটি হলে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে না। বৃহস্পতিবারের অধিবেশনে সকল সংসদীয় দলের উপস্থিতি নির্বাচনের জন্য কোরাম নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হওয়ার পর প্রথমবারের মতো আনন্দ অনুভব করছি, আশা করি আগামীকাল আমাদের একজন নতুন রাষ্ট্রপতি পাব।’

একজন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মনে করেন, এখন প্রকৃত সম্ভাবনা রয়েছে যে ‘সংসদের সকল সদস্য, তাদের রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে, ঐক্যমত ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে তাদের প্রার্থী নির্বাচন করবেন।’

বৃহস্পতিবারের নির্বাচনী অধিবেশন হবে ত্রয়োদশতম। এই নব উদ্দীপনা পূর্ববর্তী সন্দেহের বিপরীতে, যখন সংসদীয় দলগুলি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য অধিবেশনে বসতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল।