সেনাবাহিনী দেশজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন (কেপিআই)-এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং হামলা ও নাশকতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের বনানী সেনা অফিসার্স মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের অধীন সামরিক অভিযান অধিদপ্তরের কর্নেল-স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান এ তথ্য জানান।

ইন্তেখাব হায়দার খান

‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ অভিযানের আওতায় মোতায়েন সেনাবাহিনীর কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিতভাবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, ঘটনাটি সবে ঘটেছে, তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী কাজ করছে।

সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনী কাজ করছে।

কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সময় চাপ সামলানোর জন্য সেনাবাহিনী প্রশিক্ষিত। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে তারা কাজ করছে।

কক্সবাজারের নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বা নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে কোনো হুমকি নেই। ওই এলাকায় সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় তারা প্রস্তুত। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

বান্দরবানের ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ঘটেছে বলে তিনি জানান।

গত এক মাসে সেনাবাহিনী ২৮টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার, ৬৭টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও ১৩টি সড়ক অবরোধ নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১,৪০৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে এক লিখিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ২০০ জন সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার ও বড় পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর সহায়তায় কেরানীগঞ্জের রূপালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা বিফল করা হয়েছে। বড়দিন উৎসব নিরাপদে পালনেও সেনাবাহিনী ভূমিকা রেখেছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিশৃঙ্খলা এবং কক্সবাজারের এফডিএমএন শিবিরের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।