পাচারের টাকা ফেরাতে আসছে নতুন আইন!

বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দ্রুত ফেরত আনতে সরকার খুব শিগগিরই একটি বিশেষ আইন করবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই আইনটি দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শফিকুল আলম

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়, সেটা ত্বরান্বিত করতে একটা বিশেষ আইন খুব শিগগিরই করা হবে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে যেসব বিদেশি আমাদের সাহায্য করছেন, তারাও এ ধরনের আইনের চাহিদার কথা বলছেন।’

প্রেস সচিব জানান, পাচার করা টাকা উদ্ধারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রথম থেকেই তৎপর রয়েছে। এ বিষয়ে গত সেপ্টেম্বরে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। টাকা ফেরত আনার অগ্রগতি পর্যালোচনায় সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আইনি সহায়তা পেতে প্রায় ২০০টি আন্তর্জাতিক আইনজীবী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকার ও টাস্কফোর্স কথা বলছে। এর মধ্যে থেকে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। নতুন আইনটি এ প্রক্রিয়াকে সহজ করবে বলেও জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, পাচার হওয়া টাকা দেশের মানুষের টাকা। যত দ্রুত সম্ভব এই টাকা ফেরত আনা জরুরি। ঈদের পর এ বিষয়ে আরেকটি সভা ডাকবেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রেস সচিব আরও বলেন, বিদেশে ঠিক কত টাকা পাচার হয়েছে তার সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা জরুরি। তিনি একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একজন ব্যক্তি তার সন্তানের টিউশন ফি বাবদ ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়েছেন, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। এ ধরনের ঘটনা টাকা পাচারের ইঙ্গিত দেয়।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।