গোলানি: নতুন সংঘাতে জড়াতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার

ইসরায়েল সিরিয়ায় নিজেদের আক্রমণের ন্যায্যতা প্রমাণে মিথ্যা অজুহাত ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন সিরিয়ার ডি-ফ্যাক্টো নেতা আহমদ আল-শারা ওরফে আবু মুহাম্মদ আল গোলানি। তিনি বলেছেন, বর্তমানে নতুন কোনো সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নয় সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার। দেশ পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমদ আল-শারা ওরফে আবু মুহাম্মদ আল গোলানি

গোলানি বলেন, ইসরায়েলের যুক্তি এখন দুর্বল এবং তাদের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। ইসরায়েলিরা সিরিয়ায় সম্পৃক্ততার সীমা অতিক্রম করেছে, যা আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি করেছে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের সংঘাতে ক্লান্ত সিরিয়া। বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটির এখন আর নতুন করে সংঘাতের সাথে জড়িত হওয়ার সামর্থ্য নেই। সিরিয়ার বর্তমান অগ্রাধিকার হলো পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা। নতুন কোনো সংঘাত দেশটিকে আরও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

গোলানির মতে, কূটনৈতিক সমাধানই নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে। এক্ষেত্রে সামরিক অভিযানের কোনো প্রয়োজন নেই।

রাশিয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষাই এখন সিরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্কের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে আবু মুহাম্মদ আল গোলানির নেতৃত্বাধীন হায়াত তাহরির আল-শাম সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর মাধ্যমে আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের শাসনের অবসান ঘটে।

আসাদের পতনের পর ইসরায়েল ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর সিরিয়ায় স্থাপিত নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করে। এর মধ্যে দামেস্কের উপর নজরদারি করা কৌশলগত মাউন্ট হারমনের সিরিয়ান পাস ও রয়েছে, যেখানে তারা একটি পরিত্যক্ত সিরিয়ান সামরিক পোস্ট দখল করেছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডানসহ কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে।

ইসরায়েল তাদের সিরিয়ায় উপস্থিতি সাময়িক বলে দাবি করলেও গত এক সপ্তাহে তারা সিরিয়ায় শত শত আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানা গেছে।