ট্রাম্পের নতুন এফবিআই প্রধান: বিতর্কের আঁচ

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার কাশ প্যাটেলকে পরবর্তী এফবিআই পরিচালক হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্যাটেলের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়া এফবিআইয়ের আমূল সংস্কারের ইঙ্গিত বহন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের অভ্যন্তরে যাদেরকে ট্রাম্প ‘ষড়যন্ত্রকারী’ বলে মনে করেন তাদের অপসারণে প্যাটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

কাশ প্যাটেল

দেশের আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তায় ট্রাম্প দৃঢ়প্রত্যায়ী। বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার তার অতীত আহ্বানের সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ।

প্রাক্তন বিচার বিভাগীয় আইনজীবী এবং হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির কর্মকর্তা প্যাটেল ‘নুনেস মেমো’ নিয়ে কাজের জন্য সুপরিচিত। রাশিয়া তদন্তের সময় নজরদারি পরিচালনায় এফবিআইয়ের ভূমিকার সমালোচনা করে এই মেমো প্রকাশিত হয়েছিল। ট্রাম্প ‘রাশিয়া কেলেঙ্কারি’ উন্মোচনে প্যাটেলের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন এবং জবাবদিহিতার পক্ষে তার অবস্থানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

রিপাবলিকানদের সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে সিনেটে প্যাটেলের মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের মনোনয়নের তীব্র বিরোধিতা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, ভাইস প্রেসিডেন্টের টাই-ব্রেকিং ভোট অথবা কংগ্রেসের বিশেষ বিধানের মাধ্যমে মনোনয়ন অনুমোদিত হতে পারে।

বর্তমান এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে-এর সঙ্গে ট্রাম্পের বিতর্কিত সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই মনোনয়ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তার অনুগতদের বসানোর ইঙ্গিত বহন করে। ২০১৭ সালে রে-কে নিয়োগ দিলেও, বিভিন্ন ফেডারেল তদন্ত এবং মার-এ-লাগো এস্টেটে তল্লাশির পর রে ট্রাম্পের তোপের শিকার হয়েছিলেন।

প্যাটেল এফবিআই-এর কার্যক্রম সংকুচিত এবং এর প্রধান কার্যালয়কে ‘গভীর রাষ্ট্রের জাদুঘরে’ রূপান্তর করতে চান বলে জানা গেছে। ফাঁস করে দেওয়া সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার ব্যাপারে তিনি আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছেন।

ট্রাম্প, প্যাটেল ছাড়াও ফ্লোরিডার হিলসবোরো কাউন্টির শেরিফ চ্যাড ক্রোনিস্টারকে ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রশাসক পদে মনোনীত করেছেন। প্যাটেলের বিতর্কিত বক্তব্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় অভিজ্ঞতার অভাব, এফবিআইয়ের ভবিষ্যৎ এবং বৃহত্তর গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের সঙ্গে এর সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।