ঘুষ নিয়ে মার্কিন অভিযোগের বিষয়ে নীরবতা ভাঙলেন গৌতম আদানি

আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি প্রথমবারের মতো ঘুষ বিষয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতিটি আক্রমণের ঘটনা আমাদেরকে আরও শক্তিশালী করে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) উত্তর ভারতের জয়পুর শহরে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এই কথা বলেছেন।

গৌতম আদানি

ভারতীয় এই শিল্পপতি বলেন, ‘দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে আমরা আদানি গ্রিন এনার্জির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছিলাম। এটি যে প্রথমবার ঘটেছে তা কিন্তু নয়। এর আগেও আমরা এ ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি।'    

মার্কিন কর্তৃপক্ষ গৌতম আদানি, তার ভাইয়ের ছেলে ও নির্বাহী পরিচালক সাগর আদানি এবং আদানি গ্রিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভিনীত এস জৈনকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। ভারতে একটি বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি সুরক্ষিত করার জন্য একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে তারা ঘুষ দিতে রাজি হয়েছিলেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রকল্পের তহবিল সংগ্রহের সময় মার্কিন বিনিয়োগকারীদেরও বিভ্রান্ত করার জন্য তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।  

আদানি গ্রুপ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে। আইনি প্রক্রিয়ায় এই সমস্যার সমাধান করারও অঙ্গীকার করেছে।

আদানি বলেন, 'আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে পারি, প্রতিটি আক্রমণ আমাদেরকে আরও শক্তিশালী করেছে। প্রতিটি বাধা অতিক্রম করে আমরা আদানি গ্রুপের সম্মান পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হব।'  

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের বিশ্বে নেতিবাচকতা সত্যের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করার পাশাপাশি বিশ্বমানের নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়মনীতি মেনে চলার বিষয়ে আমাদের কোম্পানির প্রতিশ্রুতি পুনঃনিশ্চিত করতে চাই।    

এদিকে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) আদানি গ্রুপের অর্থ বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ আবারও প্রত্যাখান করেছেন। এছাড়া ভারত সরকার জানিয়েছে, আদানিদের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এখনও কিছু জানায়নি। 

উল্লেখ্য, আদানি গ্রুপের গৌতম আদানি, তার ভাইয়ের ছেলে সাগর আদানিসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে মার্কিন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আদানি গ্রিন এনার্জির একটি প্রকল্পে কাজ পাওয়ার জন্য ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন। 

সূত্র: রয়টার্স