পুরনো কোরআনের বিনিময়ে নতুন কোরআন!

পুরনো এসি, ফ্রিজ বা ল্যাপটপ বদলের অফার নতুন কিছু নয়। কিন্তু পুরনো কোরআন বদলে নতুন কোরআন? শুনতে অবাক লাগলেও মালয়েশিয়ায় এমনই এক অভিনব আয়োজন করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ২১ থেকে ২৪ নভেম্বর কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে এই ‘জম এক্সচেঞ্জ আল-কোরআন’ শীর্ষক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কোরআনের পুরনো কপি পাল্টে নতুন কপি নিচ্ছেন লোকজন

এই কর্মসূচিতে মুসলিমরা তাদের পুরনো, ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত কোরআন জমা দিয়ে সরকার অনুমোদিত নতুন কোরআন সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তবে জমা দেওয়া কোরআনের মধ্যে অনেকগুলোই ছিল সরকারি অনুমোদনহীন। এসব অনুমোদনহীন কোরআনের মধ্যে অসম্পূর্ণ আয়াত, ভুল সূরা, অস্পষ্ট আয়াত নম্বর - এমন নানাবিধ ত্রুটি ধরা পড়ে।

৬০ বছর বয়সী ড. রোসলান হুসেইন তার চারটি পুরনো ও ক্ষতিগ্রস্ত কোরআন বদলে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের কোরআনগুলো ছিঁড়ে গিয়েছিল। আমরা প্রতিদিন কোরআন পড়ি এবং পৃষ্ঠাগুলো হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে থাকি। এই অফারটি আমাদের জন্য খুবই উপকারী।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট ও কন্ট্রোল বিভাগের সচিব নিক ইউসাইমি ইউসুফ জানান, পুরনো কোরআন বদলের এই কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি আশা করছেন, এর মাধ্যমে সকলে শুদ্ধ কোরআন পাঠের সুযোগ পাবেন এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় কোরআন মুদ্রণের জন্য সরকারি অনুমোদন প্রয়োজন। ১৯৮৬ সালের কোরআনিক টেক্সট মুদ্রণ আইন অনুযায়ী একটি আয়াত মুদ্রণের জন্যও অনুমতি নিতে হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোরআন বিতরণ ও বিক্রির উপরও নিয়ন্ত্রণ রাখে। কোরআনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধ করাই এসব নিয়ন্ত্রণ আরোপের মূল উদ্দেশ্য।