ইলন মাস্কের তোপ, ‘এফ-৩৫ আবর্জনা, ভবিষ্যৎ ড্রোনের’

পেন্টাগনের আধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫-কে ‘আবর্জনা’ আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক। তার দাবি, ভবিষ্যতের আকাশযুদ্ধ ড্রোনের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে। এক্ষেত্রে তিনি চীনের উন্নত ড্রোন প্রযুক্তির উদাহরণও টেনেছেন।

ইলন মাস্ক ও এফ-৩৫

সোমবার (২৬ নভেম্বর) এক্সে (পূর্বে টুইটার) এক পোস্টে মাস্ক এফ-৩৫সহ অন্যান্য মনুষ্যবাহী যুদ্ধবিমান নির্মাণের ধারাবাহিকতাকে 'নির্বুদ্ধিতা' বলে অভিহিত করেন। একটি ট্র্যাশ ক্যান ইমোজি ব্যবহার করে তিনি লেখেন, ‘এফ-৩৫-এর মতো মানবচালিত যুদ্ধবিমান তৈরি এখনও চলছে, এটা অবিশ্বাস্য!’ সঙ্গে তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে চীনের অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়েছে।

মাস্কের এই মন্তব্য পেন্টাগনের ব্যয় সংস্কারের প্রস্তাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি ও ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) সহ-প্রধান, ভারতীয়-আমেরিকান বায়োটেক উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী মিলে পেন্টাগনের বিশাল বাজেটে অন্তত দুই ট্রিলিয়ন ডলার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।

লকহিড মার্টিন-উৎপাদিত এফ-৩৫ লাইটনিং জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রকল্প। এই যুদ্ধবিমানের ডিজাইনকে 'শুরু থেকেই ত্রুটিপূর্ণ' বলে মন্তব্য করেন মাস্ক। তার মতে, এটি এমন একটি প্রকল্প যা একইসঙ্গে অনেক বিপরীতধর্মী চাহিদা পূরণের চেষ্টা করেছে। ফলে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও জটিল একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে, যা কোনো ক্ষেত্রেই বিশেষ দক্ষ নয়। ‘সফলতা কখনোই এর সম্ভাব্য ফলাফলের মধ্যে ছিল না,’ বলেন মাস্ক।

বিশ্বের অন্যতম ধনী মাস্কের মতে, আজকের ড্রোনের যুগে মনুষ্যবাহী যুদ্ধবিমান পুরনো হয়ে গেছে। এগুলো শুধু পাইলটদের মৃত্যুর ঝুঁকিই বাড়ায়।

মাস্কের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ম্যাট গেটজ। তিনি বলেন, ‘এফ-৩৫ একটি ব্যর্থ প্ল্যাটফর্ম। এখন পুরোপুরিভাবে ড্রোনের দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত।’।