বাইডেনের বিতর্কিত মন্তব্যের পর হ্যারিসের আহ্বান: বিভাজন নয়, ঐক্য

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কমলা হ্যারিস আমেরিকানদের ‘পরস্পরের দিকে আঙুল তোলা বন্ধ’ করার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে প্রচারণায় তিনি রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে চাইছেন।

কমলা হ্যারিস

ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হ্যারিস বলেছেন, ‘আমরা জানি এই নির্বাচনে আমাদের সুযোগ রয়েছে বিগত এক দশকের ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধ্যায়ের ইতি টানার, যিনি আমাদের বিভক্ত ও ভীত রাখার চেষ্টা করেছেন।’

নির্বাচনের শেষ সপ্তাহে একাধিক প্রচারণা সভায় হ্যারিস ঐক্য ও মৌলিক সমঝোতার ওপর জোর দিয়েছেন। ওয়াশিংটনে মঙ্গলবার এক বক্তৃতায় তিনি তার প্রচারণার ‘শেষ বক্তব্য’ তুলে ধরেছেন।

উপ-রাষ্ট্রপতি হ্যারিস বলেছেন, ‘আমি রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছি না। আমি অগ্রগতি করতে চাই।’

এদিকে, হোয়াইট হাউস তড়িঘড়ি ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, বাইডেনের ‘আবর্জনা’ সম্পর্কিত মন্তব্য ট্রাম্পের সমর্থকদের নয়, বরং ট্রাম্পের মিত্রদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে। প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের বলেছেন, বাইডেন ‘ট্রাম্পের সমর্থকদের বা ট্রাম্পকে সমর্থনকারী কাউকে আবর্জনা হিসেবে দেখেন না।’

বিতর্কটি শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার — হ্যারিস হোয়াইট হাউসের কাছে বক্তব্য রাখার সময় — যখন বাইডেন ভোটো ল্যাটিনো নামক হিস্পানিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আয়োজিত এক প্রচারণা কলে অংশ নিয়েছিলেন। বাইডেন ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনের এক র‍্যালিতে একজন কৌতুক অভিনেতার পুয়ের্তো রিকোকে ‘ভাসমান আবর্জনার দ্বীপ’ বলে বর্ণনা করে সমালোচনা করেন।

বাইডেন বলেছেন, ‘আমি কেবল ভাসমান আবর্জনা দেখছি তা হলো তার সমর্থকরা।’

হ্যারিস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, ভোটের ভিত্তিতে মানুষ সমালোচনার সঙ্গে তিনি একমত নন। তিনি বলেছেন, ‘আমি সকল আমেরিকানদের প্রতিনিধিত্ব করব, যারা আমাকে ভোট দেয় না তাদেরও।’

রিপাবলিকানরা বাইডেনের মন্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে। ট্রাম্প তার সমাবেশে বলেছেন, ‘তারা তোমাদের আবর্জনার মতো ব্যবহার করেছে।’

উইসকনসিনের গ্রিন বে-তে অবতরণের পর ট্রাম্প আমেরিকান পতাকা ও প্রচারণা সাইন দিয়ে সজ্জিত একটি গার্বেজ ট্রাকের যাত্রী আসনে বসে ছবি তুলেছেন।

হ্যারিসের সমাবেশে উপস্থিত ট্রাভিস ওয়াটার্স বাইডেনের মন্তব্য নিয়ে তোলপাড়কে উপেক্ষা করেছেন।

প্রচারণার শেষ লগ্নে কমলা হ্যারিসের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ম্যাডিসনে হ্যারিসের সমাবেশে উপস্থিত ৬৫ বছর বয়সী হলি মেয়ার বলেন, ‘আমি কিছুটা নার্ভাস। তবে আশাবাদীও বটে। মানুষ যেন উপ-রাষ্ট্রপতি হ্যারিসের উদ্যমে উজ্জীবিত।’