পুতিন: পশ্চিমাদের কারণেই ইউক্রেন যুদ্ধ

ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আবারও পশ্চিমা দেশগুলোর আধিপত্য ধরে ধারার মানসিকতাকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার মতে, কিছু দেশ উপনিবেশবাদকে উৎসাহিত করছে, যা ইউক্রেনে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। এর জেরেই রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। খবর আল জাজিরা।

পুতিন

জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া বক্তৃতায় পুতিন বলেন, আমি বলতে চাই, পশ্চিমা বেশকিছু দেশ বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছিল। তাদের এই আধিপত্য বজায় রাখার আকাঙ্ক্ষা ইউক্রেনকে হামলার ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়।

তিনি বলেন, এই সংকটের সূচনা হয়েছিল ২০১৪ সালে, যখন পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা ইউক্রেনে অসাংবিধানিক অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছিল। সেই অভুত্থানে রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তখন থেকে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাসে রুশভাষী নাগরিকরা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

যারা অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিল না, তাদেরকে নিষ্ঠুর নির্যাতন-নিপীড়নের মুখে পড়তে হয়েছে। তারা তখন তাদের সংস্কৃতির জন্য, তাদের ঐতিহ্যের জন্য লড়াই করেছে। তাদের ভাষার জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ করেছে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনকে ডি-নাজিফাই ও অসামরিকীকরণ করতে এবং দেশটির রুশভাষী লোকজনকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে। পুতিন বলেন, ইউক্রেনে যে আমরা সামরিক অভিযান চালিয়েছি, তার লক্ষ্য ছিল কেবল ইউক্রেনের ডনবাসে বসবাসকারী লোকজনের বিরুদ্ধে পশ্চিমারা যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, তার অবসান ঘটানো।

রুশ প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে আরও বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু দেশ পৃথিবীজুড়ে যে একচেটিয়া আধিপত্য কায়েম করতে চায়, আমরা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। ব্রিকসকে তিনি এই লক্ষ্যের সহযোগী হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি একটি বহুমুখী বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনোর পক্ষে কাজ করছে।

ব্রিকসের সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনেরও এই সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার কথা ছিল। তবে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে তিনি ভার্চ্যুয়ালি এ সম্মেলনের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।