দিল্লি থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের বহিষ্কারের নির্দেশ অমিত শাহর

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, দিল্লিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও স্পষ্ট আইনি ব্যবস্থা নিতে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অমিত শাহ

বৈঠকে উপস্থিত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে যেসব এলাকায় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেশি, সেসব এলাকায় একটি নিরীক্ষা চলছে। যারা এই অবৈধ বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে এবং যারা তাদের জাল নথিপত্র সংগ্রহ করতে সাহায্য করেছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অমিত শাহ বৈঠকে জোর দিয়ে বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়টি সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত এবং এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ‘শহরের অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করে বহিষ্কার করতে হবে,’ এটাই ছিল স্পষ্ট নির্দেশ।

কর্মকর্তা জানান, দিল্লিতে অবৈধভাবে বসবাসের বিষয়টি মোকাবেলায় ‘উপর থেকে নীচে এবং নীচে থেকে উপরে’ একটি পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য অমিত শাহ স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘যারা তাদের থাকার ব্যবস্থা করে এবং নথিপত্র পেতে সাহায্য করে, তাদের পুরো নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, দিল্লির নাগরিকরা নিশ্চিত হতে পারবেন যে নতুন সরকার শহরের অবৈধ বাসিন্দাদের বিষয়টি কঠোর হস্তে মোকাবেলা করবে।

একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই থানা পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।’

দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে অমিত শাহ দিল্লি সরকারের কর্মকর্তাদের দিল্লি পুলিশের সঙ্গে মিলে কাজ করার আহ্বান জানান। বৈঠকে উপস্থিত দিল্লি সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দিল্লির ডাবল ইঞ্জিন সরকার এখন একটি উন্নত ও নিরাপদ দিল্লি গড়ার জন্য দ্বিগুণ গতিতে কাজ করবে।’

বৈঠকে নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশীষ সুদ, দিল্লি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শাহ পুলিশ কর্মকর্তাদের দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে কার্যরত আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতকারীদের দমনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং রাস্তার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যেসব থানা ও সাব-ডিভিশন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।

শাহ কর্মকর্তাদের বলেন, ‘রাস্তার অপরাধ সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তার ধারণার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাই এই দুষ্কৃতকারী চক্রের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের অবস্থান অনমনীয় হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, মহিলা এবং শিশুদের নিরাপত্তার জন্য ঝুপড়িপট্টি এলাকায় নতুন নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা উচিত।

২০২০ সালের দিল্লি হাঙ্গামার মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দিল্লি সরকারকে বিশেষ সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।