যুক্তরাষ্ট্রের চাপে নিজেদের বিমান ফেরত পাচ্ছে না আফগানিস্তান!

আফগানিস্তান অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণেই বিভিন্ন দেশে থাকা তাদের বিমানগুলো ফেরত পাচ্ছে না কাবুল। দুই বছর আগে সাবেক সরকারের পতনের সময় বিভিন্নভাবে আফগানিস্তানের বেশকিছু বিমান হেলিকপ্টার অন্য দেশে রয়ে গিয়েছিল। দুই বছর ধরে চেষ্টা চালালেও প্রতিবেশী দেশগুলো আফগানিস্তানের সে ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। খবর তোলোনিউজ।

আফগানিস্তানের বিমান, ফাইল ছবি

আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ কাসিম ফারসাদ এ সব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে আটকে থাকা আমাদের এ ধরনের বিমানের সংখ্যা ৬০টির মতো। আমরা বেশ কয়েকবার আনুষ্ঠানিকভাবে এসব বিমান ফেরত দেওয়ার জন্য তাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু মার্কিন চাপের কারণে তারা আমাদের বিমানগুলো ফেরত দিচ্ছে না।

দুই দশক পর ২০২১ সালের আগস্টে ফের ক্ষমতায় আসে তালেবান। ওই মাসেই যুক্তরাষ্ট্রসহ সব বিদেশি সেনা আফগানিস্তান ছাড়ে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে থাকা বেশকিছু সামরিক সরঞ্জাম নষ্ট করে দিয়ে যায়। এছাড়া বিমান-হেলিকপ্টারগুলোর পাইলটদের বিমানসহ অন্য দেশে পালিয়ে যেতে প্ররোচিত করে। সেই বিমান ও হেলিকপ্টারগুলো এই দুই বছরেও আফগানিস্তানে ফেরত আসেনি।

আফগানিস্তানের হেলিকপ্টার, ফাইল ছবি

এদিকে একই সম্মেলনে সেনাপ্রধান ফসিহউদ্দিন ফিতরাত দাবি করেন, আফগানিস্তানে দায়েশ গ্রুপের হামলা শূন্যে নেমে এসেছে। গত বছর আফগান প্রশাসন সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে। এসব কারণে দায়েশ গ্রুপের শক্তি খর্ব হয়েছে।

পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সমালোচনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সমালোচনা করার পরিবর্তে তাদের নিজেদের দেশের প্রতি মনোনিবেশ করা উচিত। তাদের মনে রাখা উচিত, এ ধরনের সমালোচনা তাদের নিজ ভূমিতে নিরাপত্তা দিতে পাকিস্তানের অক্ষমতাকেই প্রকাশ করে। পাকিস্তানের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে ওঠা লোকগুলো সেই দেশেই রয়েছে। পাকিস্তানসহ অন্য দেশগুলোর উচিত নিজেদের মাটিতেই তাদের শত্রুদের সন্ধান করা, আফগানিস্তানে নয়।