সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি, নাইজারে ব্যাপক বিক্ষোভ

নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপ করা হতে পারে- আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোর এমন হুমকির প্রতিবাদে দেশটির রাজধানী নিয়ামিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল রোববারের এ বিক্ষোভে তারা অভ্যুত্থানের সমর্থনে স্লোগান দেয় এবং সব ধরনের হুমকির প্রতিবাদ জানায়। খবর আল জাজিরা।

নাইজারে অভ্যুত্থানসমর্থকদের বিক্ষোভ

গত মাসের শেষ দিকে নাইজারের প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে ক্ষমতা হাতে নেয় দেশটির প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট গার্ড বাহিনী। পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীও তাদের সমর্থন জানায়। তবে এ অভ্যুত্থানকে অবৈধ ঘোষণা করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লক ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)।

আঞ্চলিক এই সংস্থাটি জানিয়েছে, এ পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে তারা অভ্যুত্থানকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছে। তবে এ আলোচনা ব্যর্থ হলে তারা নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের কথা বিবেচনা করছে।

মিয়ামিতে অভ্যুত্থানসমর্থকদের বিক্ষোভ

এর আগে অবশ্য নাইজারের অভ্যুত্থানকারী গোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তবে এর জন্য তিন বছর সময় প্রয়োজন হবে। অভ্যুত্থানের পর নিজেকে দেশটির নেতা ঘোষণাকারী জেনারেল আবদুর রহমান তচিয়ানি শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, তিনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান না। আর বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে তিন বছরের বেশি সময় প্রয়োজন হবে না। এ সময় তিনি নাইজারে ইকোওয়াসের সামরিক হামলাকে ‘পার্কে হাঁটা’র মতো বিষয় হবে না বলেও সতর্ক করেন।

সামরিক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এ সতর্কবার্তা আসার এদিন পরই নাইজারের রাজধানীতে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা দেশটির সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স এবং ইকোওয়াসের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। তারা ইকোওয়াস কর্তৃক আরোপিত আর্থিক ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে ‘সামরিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন’ এবং ‘নিষেধাজ্ঞার প্রতি না’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করছিল।

এমনিতে অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হলেও অভ্যুত্থান সমর্থকদের বিক্ষোভ আয়োজনে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।