সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ১৮ আগস্ট, শুক্রবার এক ঐতিহাসিক সম্মেলনে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবকাশ যাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাঁ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা

এই তিনটি দেশ এমন এক সময়ে বৈঠক করছে যখন চীন এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

বাইডেন বলেছেন, তিনটি দেশ হুমকির প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি হটলাইন স্থাপন করবে। এছাড়া ‘ক্যাম্প ডেভিড নীতিমালা’ বলে অভিহিত চুক্তিগুলো ঘোষণা করা হবে।

বাইডেন, কিশিদা এবং ইউন সুক ইওল একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতার উদ্দেশ্য সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রচার করা। এছাড়া উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা।'   

বিবৃতিতে তিন নেতা বলেছেন, ‘আমাদের দেশগুলোর মধ্যে নিয়মিত এবং সময়োপযোগী যোগাযোগের সুবিধার্থে আমরা ত্রিপক্ষীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে সম্মত হয়েছি। এর মধ্যে রাষ্ট্রপ্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে বার্ষিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।' 

বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সম্মেলন শুরুর কিছুক্ষণ আগে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা বলাই যথেষ্ট যে এটি একটি বড় চুক্তি হতে যাচ্ছে। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি আরও শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক এবং একটি শক্তিশালী ও আরও নিরাপদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শর্ত নির্ধারণ করে।' 

বৃহস্পতিবার টোকিও ত্যাগের আগে কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছেন, সিউল এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে এই শীর্ষ সম্মেলনটি হবে ত্রিপক্ষীয় কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করার একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ।

এদিকে চীন সরকার এই সম্মেলন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই অঞ্চলে কে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে এবং উত্তেজনা বাড়াচ্ছে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেখতে পাচ্ছে।'  

তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন জোট গঠনের চেষ্টা এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সংঘাত সৃষ্টির অবিরাম প্রচেষ্টা অজনপ্রিয়। এই অঞ্চলের দেশগুলো অবশ্যই এর বিরোধিতা করবে।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ