কমলা হ্যারিসকে নিয়ে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সম্পর্কে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের বক্তব্য কূটনৈতিক ঝড় তুলেছে। কোহেনের বক্তব্যে মার্কিন কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। পরে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে টুইটারে একটি ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর দ্য নিউ আরব।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন

৬ জুন, মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাস আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে হ্যারিস নেতানিয়াহুর সরকারের বিচার বিভাগের সংস্কার আইনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েলের একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ দরকার। এরপর থেকেই বিরোধ শুরু হয়।

৭ জুন, বুধবার ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন হ্যারিসের সমালোচনার জবাবে বলেছেন, ইসরায়েলি সরকারের সংশোধন প্রস্তাব সম্পর্কে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের কোনো ধারণা নেই।

দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে কোহেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা যদি তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে সংস্কারের ক্ষেত্রে তাকে কী বিরক্ত করছে, তাহলে তিনি আপনাকে একটি ধারাও বলতে পারবেন না যা তাকে বিরক্ত করছে।’

ইসরায়েলি টিভি ‘চ্যানেল টুয়েলভ’ জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা কোহেনের অপমানজনক মন্তব্যের জন্য ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টমাস নিডসও কোহেনের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।

পরবর্তীতে কোহেন তার মন্তব্য স্পষ্ট করতে বাধ্য হন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। তিনি ইসরায়েলের একজন প্রকৃত বন্ধু।’ পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ‘বিচার বিভাগীয় সংস্কার ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়।’

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে একটি অতি ডানপন্থী সরকার ইসরায়েলের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মার্কিন-ইসরায়েল জোট ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে পড়েছে। নেতানিয়াহুর সরকার পশ্চিম তীরে বসতি প্রসারিত করেছে এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা তীব্র করেছে।

উল্লেখ্য, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ডানপন্থী সরকার বিচার বিভাগীয় সংস্কার আইনে সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব কমানোর এবং বিচারক নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। ইসরায়েলের বিরোধী দলগুলো এই সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। এমনকি দেশটির সাধারণ জনগণও এই আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের দাবি, এর ফলে দেশটির গণতন্ত্র ধ্বংসের মুখে পড়বে।