প্রতি সিগারেটেই থাকবে সাবধানবাণী

সিগারেটবিরোধী প্রচারণার কমতি নেই। এমনকি সিগারেটের প্যাকেটেও থাকে নানা ধরনের সতর্কতা। তারপরও ধূমপান থেকে নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না আসক্তদের। তাই এবার একটু ভিন্ন পথে হাঁটতে যাচ্ছে কানাডার সরকার, যাতে সবাই আরেকটু বেশি সচেতন হয়। খবর বিবিসি।

প্রতি সিগারেটেই থাকছে সতর্কতা

কানাডার স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ধূমপানের ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতিটি সিগারেটের গায়েই সাবধানবাণী বসাতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। এখন থেকে সিগারেটের প্রতিটি শলাকাতে মুদ্রিত থাকবে ‘সিগারেট ক্যান্সারের কারণ’, ‘প্রতি টানে বিষ’-এমন সব সাবধানবাণী। আগামী ১ আগস্ট থেকে এই সংক্রান্ত একটি আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে।

কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ধূমপানের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই ধরনের পদক্ষেপ বিশ্বে এটাই প্রথম। ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে তামাকের ব্যবহার পাঁচ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে তারা এই পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এতে সিগারেটসহ অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটের পাশাপাশি আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটি সিগারেট, চুরুট, টিউবসহ অন্যান্য তামাকজাত পণ্যে এ সতর্কবাণী লেখা থাকবে।

সিগারেটের আসক্তি কমাতে নতুন পথ খুঁজছে কানাডা সরকার

দেশটির মানসিক স্বাস্থ্য ও আসক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ক্যারোলিন বেনেট এক বিবৃতিতে বলেন, এখনও কানাডায় কেবল তামাকজাত পণ্যের কারণেই ৪৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তাই এই তামাকজাত পণ্যের আসক্তি কমিয়ে আনতে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্রত্যেক সিগারেটে সাবধানবাণী জুড়ে দিতে যাচ্ছি আমরা।

কানাডার ক্যান্সার সোসাইটি, হার্ট অ্যান্ড স্ট্রোক ফাউন্ডেশন লাং অ্যাসোসিয়েশন সরকারের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে। তারা প্রত্যাশা করছে, এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে লোকজন বিশেষ করে তরুণরা ধূমপান থেকে বিরত থাকবে।

কানাডার ন্যাশনাল টোবাকো অ্যান্ড নিকোটিনের ২০২১ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী জনসংখ্যার ১০ শতাংশ ধূমপানে অভ্যস্ত।