মার্কিন কোষাগারে নগদ মাত্র ৩৮ বিলিয়ন ডলার!

মার্কিন ট্রেজারি তথা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কোষাগারে নগদ অর্থের পরিমাণ খাদের কিনারায় ঠেকেছে। যা মার্কিন সরকারের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বলা হচ্ছে, মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের হাতে নগদ যা আছে, তার চেয়ে দেশটির অন্তত ৩১ জন ধনকুবেরের একেকজনের হাতে অনেক বেশি পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। খবর সিএনএন।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ে নগদ অর্থের টানাটানি

সর্বশেষ ফেডারেল তথ্য অনুসারে, ২৫ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, মার্কিন ট্রেজারির কাছে নগদ ছিল মা ৩৮.৮ বিলিয়ন ডলার। যদিও চলতি মাসের শুরুতে তাদের কোষাগারে ছিল ২০০ বিলিয়ন ডলার প্রায়।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে অন্তত ৩১ জন বিলিয়নেয়ার রয়েছেন, যাদের প্রত্যেকের সম্পদের মূল্য ফেডারেল সরকারের ওই নগদ অর্থের চেয়ে অনেক বেশি।

যেমন ফেডারেল সরকারের চেয়ে ফ্যাশন মোগল বার্নার্ড আর্নল্টের অর্থসম্পদের পরিমাণ অন্তত ৫ গুণ বেশি। বিলাস দ্রব্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচ-এর চেয়ারম্যান আর্নল্টের মোট সম্পদের অর্থমূল্য আনুমানিক ১৯৩ বিলিয়ন ডলার।

টেসলার মালিক ইলন মাস্কের সম্পদের মূল্য ১৮৫ বিলিয়ন ডলার এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের হাতে রয়েছে ১৪৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ।

এই তালিকায় আরও রয়েছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ, ডেল টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী মাইকেল ডেল এবং কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট।

এমনকি অল্প পরিচিত কয়েকজন ধনকুবেরের হাতেও মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের চেয়েও বেশি পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

নগদ অর্থের এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে রয়েছে সরকার।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এরইমধ্যে সতর্ক করেছেন, আগামী ১ জুনের পর হয়তো প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের হাতে সরকারি ব্যয় পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল থাকবে না।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলছেন, যদি কংগ্রেস ৫ জুনের মধ্যে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা না বাড়ায়, তবে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে দেউলিয়া হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

অচলাবস্থা দূর করতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার প্রশাসন ঋণ সীমা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বিরোধীদল রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতাদের বাধার মুখে পড়ছেন তারা।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণ সীমা হচ্ছে ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সেই সীমায় পৌঁছে গেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সরকার।

সর্বশেষ খবর অবশ্য, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রতিনিধি পরিষদে বিরোধীদলীয় স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ঋণের সীমা স্থগিত করার জন্য একটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতায় পৌঁছেছেন।