চাপে নেতাদের পদত্যাগ, আলোচনা চান ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের সঙ্গে অবিলম্বে আলোচনার জন্য আবেদন করেছেন। তার শীর্ষ সহযোগী ও রাজনৈতিক দল পিটিআইয়ের সমর্থকদের ওপর ক্র্যাকডাউন চলছে। সরকার ইমরান খানের হাজার হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ইমরানের দাবি, চাপে পড়ে অনেকে তার দল ছাড়ছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ইমরান খান

ইমরান শুক্রবার ইউটিউবে প্রচারিত একটি লাইভ টকশোতে বলেন, তিনি সরকারের সঙ্গে আলোচনার করতে চান, কারণ বর্তমানে যা ঘটছে তা সমাধান নয়। দেশ নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ক্র্যাকডাউনের (দমন-পীড়ন) কারণে পিটিআইয়ের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে এবং যখনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তখনই তিনি জয়ী হবেন। বর্তমান সংকট থেকে দেশকে বের করে আনতে তিনি আলোচনায় বসতে চান।

ইমরান খান গত বছর সংসদীয় ভোটে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, পাকিস্তানের শীর্ষ জেনারেল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে উৎখাত করেছে। তবে সামরিক বাহিনী ও ওয়াশিংটন বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

গত ৯ মে ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর তার সমর্থকরা দেশজুড়ে বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়ে। তারা সেনাবাহিনীর স্থাপনাও ভাঙচুর করে। তবে ইমরান এই সহিংসতার নিন্দা করেছেন। এরপরও বেশিরভাগ শীর্ষ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকে মুক্তি পেলেও তারা পিটিআই থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছেন। কয়েক ডজন মধ্য স্তরের নেতা দল ত্যাগ করে চলে গেছেন।

খবরে বলা হচ্ছে, পাকিস্তান কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও খারাপ হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে।

ইমরান খানের ইমরানের দাবি, তাকে দুর্বল করতে এবং তার দল ভেঙে দেওয়ার জন্য তাদের চাপের মুখে নেতাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি অস্থিরতার সময় সামরিক স্থাপনায় হামলা থেকে তার দলকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন এবং ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তা সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

আগামী নভেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং জরিপগুলো দেখাচ্ছে, ইমরান খানই দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তিনি একটি কমিটি গঠন করবেন।