মিয়ানমারে তিনজন নিহত

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১৪ মে, রোববার বিকেলে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের গতিবেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা। খবর এপি।

মিয়ানমারে তিনজন নিহত

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অফিস বলছে,  ইতোমধ্যে রাখাইন রাজ্যের থানদউয়ে বিমানবন্দরে একটি ভবন ধসে পড়েছে। সিতওয়ে, কিয়াউকপিউ এবং গওয়া শহরে ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, মোবাইল টাওয়ার, বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এপি খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের শান রাজ্যের একটি উদ্ধারকারী দল তাদের ফেসবুক পেজে বলেছে, তারা এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। দেশটির টাচিলেক শহরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে বাড়িতে চাপা পড়ে মারা গেছেন তারা।

এছাড়া দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মিয়ানমারের মান্দালয় প্রদেশের পাইন ওও লুইন শহরে একটি বটগাছ পড়ে অন্তত একজন মারা গেছেন।

এছাড়া দেশটির অনেক জায়গায় সকালে থেকে বিদ্যুৎ নেই, ইন্টারনেট নেই।

সিতওয়ে শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, এতো জোরে বাতাস বইছে যে, মনে হচ্ছে আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে।

দেশটির দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ আশপাশের শহরে আশ্রয় নিয়েছে।

সকালে মিয়ানমারের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র সিতওয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। ঝড়ের প্রভাব ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটারের মতো।

ঘূর্ণিঝড়টি রাখাইন উপকূল থেকে উত্তর পূর্বের চিন রাজ্য, ম্যাগওয়ে ও সাগাইং এবং কাচিন পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে।

এ সময় সাগাইং, মান্দালে, ইরাবতি এবং চিন রাজ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১১২ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার এবং নেপিদো, বোগো, ইয়াঙ্গুন এবং কাচিন শান এবং কায়াহ অঞ্চলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৪ থেকে ৯৬ কিলোমিটার হতে পারে।