বিগ বেনে ১৬ ঘণ্টা ধরে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে প্রতিবাদ, যুবক গ্রেপ্তার

ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে বিশ্ববিখ্যাত এলিজাবেথ টাওয়ার (বিগ বেন) এর চূড়ায় ১৬ ঘণ্টা অবস্থান করে প্রতিবাদ জানানো এক যুবককে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৯ মার্চ) দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় তাকে নিচে নামানো হয়।

বিগ বেন টাওয়ারে ওই যুবক

শনিবার ভোর থেকেই এই যুবক টাওয়ারে আরোহণ শুরু করেন। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৪ মিনিটে মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রথম এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়। ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পার্লামেন্টের ট্যুর স্থগিত করা হয়। এতে প্রধান সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

ঘটনাস্থলে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবা প্রদানকারী দলগুলো উপস্থিত হয়। প্রতিবাদকারীর সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি ক্রেনও মোতায়েন করা হয়। তিনি তার আরোহণের ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে পুলিশকে উপরে উঠতে নিষেধ করেন এবং ‘পুলিশি দমননীতি ও রাষ্ট্রীয় সহিংসতার’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন বলে জানান। টাওয়ারের গায়ে রক্তের দাগ দেখা যায়, যা সম্ভবত তার খালি পায়ে আরোহণের ফলে সৃষ্টি হয়েছে।

পরে তিনি টাওয়ারের চারপাশে ফিলিস্তিনি কেফিয়েহ স্কার্ফ জড়িয়ে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেন। পুলিশ ব্যারিকেডের পেছনে কিছু লোক তার সমর্থনে জড়ো হয়। আলোচকদের সারাদিনের প্রচেষ্টার পর, মধ্যরাতে বিগ বেনের ঘণ্টাধ্বনির পর তিনি ‘নিজের শর্তে’ নেমে আসতে রাজি হন। একটি চেরি পিকারের সাহায্যে তাকে নিচে নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়েস্টমিনস্টার পুলিশ লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডসহ অন্যান্য সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।

এই ঘটনা পার্লামেন্ট ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কনজারভেটিভ এমপি বেন ওবেস-জেকটি পার্লামেন্টের আশপাশে সশস্ত্র পুলিশ টহলের অনুপস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পার্লামেন্টের একজন মুখপাত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্ব স্বীকার করেছেন, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।