ইমরান খানের পাশে কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা

একটি দুর্নীতি মামলায় গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, পিটিআই চেয়ারম্যান ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়েরের খবর পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। ইমরান খানের এ অবস্থায় তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

 ইমরান খান

রাজনৈতিকভাবে বিরোধ থাকলেও এ ব্যাপারে পাকিস্তানিদের কোনো দ্বিমত নেই যে, ইমরান খান তার সময়ের সেরা ক্রিকেটার। সুদর্শন, প্রতিভাবান, কৌশলী ইমরান ১৯৭০-এর দশকে এশিয়ার ক্রিকেটকে অন্য এক মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। রিভার্স-সুইং ও ইয়র্কারে অনন্য বোলিং, দুর্দান্ত ব্যাটিং ক্ষমতাসম্পন্ন এই অলরাউন্ডার জাতিকে বিশ্বকাপও এনে দিয়েছিলেন।

পরবর্তী সময়ে তিনি রাজনীতিতে নামেন এবং একপর্যায়ে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। গত মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ অবস্থায় তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, তার এক সময়ের সতীর্থসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রিকেটাররা।

 বিশ্বকাপ হাতে ইমরান খান

১৯৯২ বিশ্বকাপের বিজয়ী দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ওয়াসিম আকরাম টুইটে লেখেন, আপনি মানুষ হিসেবে একজন। কিন্তু আপনার রয়েছে লাখো মানুষের শক্তি। অধিনায়ক আপনি শক্ত, অটল থাকুন।

পাকিস্তানের স্পিডস্টার শোয়েব আখতার লিখেছেন, আমাদের জাতীয় বীর ইমরান খানকে এই হেনস্তা করার দৃশ্য একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। পাকিস্তানের প্রতি তার অগণিত পরিষেবা রয়েছে। আমাদের জাতীয় বীরের প্রতি কিছু হলেও সম্মান দেখান।

পাকিস্তান টিমের এক সময়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ ওয়াকার ইউনুস লিখেছেন, অধিনায়ক, আমরা আপনার পেছনে আছি। আসুন আমরা আমাদের নেতা ও স্বাধীনতাকে রক্ষা করি।

ইমরান খানকে এভাবে গ্রেপ্তার করা ও রিমান্ড নেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রফেসর হিসেবে খ্যাত মোহাম্মদ হাফিজ বলেছেন, বেদনাদায়ক ও নিন্দনীয় কাজ।

গত মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামাবাদ কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন তার সমর্থকরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের এ সহিংসতায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শহরে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে।