সুদানে খুলছে গণতান্ত্রিক সরকারের পথ

সুদানের সামরিক নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান সেনাবাহিনীকে বেসামরিক শাসনে আনতে সংস্কারের আলোচনায় একমত হয়েছেন। তিনি সেনাবাহিনীকে একটি নতুন বেসামরিক সরকারের অধীনে আনতে রাজি হয়েছেন। আল জাজিরার খবর।

এক অনুষ্ঠানে সুদানের সামরিক নেতারা

রোববার তিনি সেনাদের উদ্দেশে এক বক্তব্যে বলেন, আমাদের ইতিহাসে সশস্ত্র বাহিনী স্বৈরাচারী সরকারকে বারবার সমর্থন দিয়েছে। আমরা এর অবসান চাই। সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের তিন দশকের শাসনামল ও তার কর্মজীবনের ওপর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আল-বুরহান ২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করেন। ২০১৯ সালে তার হাতেই ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হন। সামরিক ও রাজনৈতিক দলগুলো গত ডিসেম্বরে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, যাতে একটি বেসামরিক নেতৃত্বাধীন ট্রানজিশন সরকারের পক্ষে সবাই একমত হয়। সরকারটি দুই বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেবে এবং নতুন সরকার গঠনে সহায়তা করবে।

তবে গণতন্ত্রপন্থী প্রতিবাদী গোষ্ঠীগুলো এই চুক্তির বিরোধিতা করে অন্তর্বর্তীকালীন বিচার এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সংস্কারের বিষয়টি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়। তাদের দাবি, বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে জেনারেলদের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।

বুরহান বলেন, গত ডিসেম্বরের চুক্তিটির মাধ্যমেই মূলত নিরাপত্তা বাহিনীর সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার বিষয়টি এখন মূল বিষয়। তবে সামরিক সংস্কার প্রক্রিয়া একটি দীর্ঘ এবং জটিল প্রক্রিয়া। এটিকে বাইপাস করা যায় না।

প্রস্তাবিত সংস্কারের মধ্যে রয়েছে আল-বুরহানের ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে শক্তিশালী আধাসামরিক র্যা পিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) নিয়মিত সেনাবাহিনীতে একীভূতকরণ করার বিষয়টি।

সুদানের সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাহিনীটি যথেষ্ট অর্থনৈতিক শক্তি অর্জন করেছে। সেনাবাহিনী আরএসএফকে নিজেদের সাথে একীভূত দেখতে চায়। কারণ আরএসএফের রয়েছে প্রায় এক লাখ সশস্ত্র যোদ্ধা। প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্য থেকে ২০১৩ সালে গঠিত হয় আরএসএফ ।