কাশ্মির নিয়ে জাতিসংঘের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান ভারতের

কাশ্মির পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনারের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। জাতিসংঘ কর্মকর্তার বক্তব্য ‘অনভিপ্রেত’ ও ‘তথ্যগতভাবে অসঠিক’ বলে মন্তব্য করেছে দেশটি। খবর পিটিআই।

কাশ্মিরে মানবাধিকার পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলেছেন জাতিসংঘ হাইকমিশনার

জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫২তম অধিবেশনে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ইন্দ্র মনি পান্ডে এসব অভিমত ব্যক্ত করেন। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনারের কিছু করার নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

পান্ডে বলেন, ২০১৯ সালে সংবিধান সংশোধনের পর থেকে ভারতের ইউনিয়ন টেরিটরি জম্মু ও কাশ্মিরে গণতন্ত্রকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মানুষের অংশগহণ জোরদার, জনগণকে সুশাসন ও নিরাপত্তা প্রদান ও সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নজিরবিহীন অগ্রগতি হয়েছে।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় জম্মু ও কাশ্মিরে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে হাইকমিশনারের অনভিপ্রেত ও তথ্যগতভাবে অসঠিক উপস্থাপনায় আমরা হতাশা ব্যক্ত করছি। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে জম্মু কাশ্মির ইউনিয়ন টেরিটরির বিষয়াদি ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু এবং এতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের ভূমিকা রাখার মতো কিছু আমরা দেখি না।

এর আগে হাইকমিশনার ভোলকার টুর্ক তার বক্তব্যে বলেন, কাশ্মিরে ‘উদ্বেগজনক মানবাধিকার পরিস্থিতি’ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতি এবং অতীতের অবিচারের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলেই নিরাপত্তা ও উন্নয়ন এগিয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কাশ্মির অঞ্চলে অর্থবহ প্রবেশগম্যতাসহ নানা ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা কিভাবে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে কাজ অব্যাহত রাখবেন বলেও তিনি জানান।

বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির সর্বশেষ চিত্র সম্পর্কে দেওয়া বক্তব্যে ভোলকার টুর্ক চীন প্রসঙ্গে বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা সেখানে ঢালাও ও একতরফাভাবে আটকে রাখার, পরিবারের সদস্যদের পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করার গভীর উদ্বেগজনক তথ্যপ্রমাণ নথিভূক্ত করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হাজির করেছে।

তিনি বলেন, তিব্বতি, উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সুরক্ষাসহ বেশকিছু মানবাধিকার ইস্যুতে ফলোআপের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের দপ্তর সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের পথ উন্মোচন করেছে। এছাড়া চীনে মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীদের একতরফাভাবে আটকে রাখার ঘটনা এবং হংকংয়ের ন্যাশনাল সিকিউরিটি আইনের প্রভাব নিয়েও জাতিসংঘের উদ্বেগ রয়েছে বলে তিনি জানান।