মাঠে ফেরার লড়াইয়ে মুস্তাফিজ, ক্রমশই উন্নতি হচ্ছে

ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মুস্তাফিজের অনুপস্থিতি হারে হারে উপলব্ধি করেছে বাংলাদেশ। টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও মুস্তাফিজের অভাব স্বীকার করেছেন। এরপর ইংল্যােন্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ২২ রানের পরাজয় এবং পরের টেস্টে মিরাজের অসাধারণ বোলিংয়ে বাংলাদেশের সমতায় ফেরা। ক্রিকেট বোদ্ধারা বলছেন, কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ থাকলে ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে হতে পারতো। এদিকে কোটি কোটি ক্রিকেট অনুরাগীও অপেক্ষায় আছেন, বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ-মুস্তাফিজ জুটির বোলিং দেখতে। ইতোমধ্যে ইনজুরিতে আক্রান্ত মুস্তাফিজের মাঠে ফেরার লড়াই শুরু হয়েছে, তিনি ক্রমশই উন্নতি করছেন। আশা করা যাচ্ছে, ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরেই দলে ফিরছেন তিনি।

চলতি বছর ইংল্যান্ডের একটি লীগে খেলতে গিয়ে আহত হন রহস্যময়ী বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর ১১ আগস্ট অস্ত্রোপচারের পর থেকেই পুনর্বাসনে আছেন তিনি। শরীরের অবস্থার উন্নতি ঘটায় তার মাঠে ফেরার লড়াইটা শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে। ওইদিন প্রথমবারের মতো হাতে বল তুলে নেন তিনি। দুর্দান্তভাবে পুরো তিন ওভার বোলিংও করেন। তবে এরপর ২ নভেম্বর এবং আজ ৩ নভেম্বর চার ওভার করে বোলিং করেছেন মুস্তাফিজ। ফলে স্বভাবতই অনেকটাই উন্নতির পথে মুস্তাফিজের অবস্থা। বলা হচ্ছে, বল হাতে তুলে নেওয়াটা তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় অংশ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম বলেন, 'মুস্তাফিজকে দলে ফেরাতে অনুশীলন করানো হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার ফিজ চার ওভার বোলিং করেছেন। ১ তারিখে তিন ওভার বল করলেও আজ একটু বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার উন্নতি হচ্ছে। নেটে সে তার সক্ষমতার ৫০ ভাগ দেখাচ্ছে। আমরা নিউজিল্যান্ড সিরিজে তার কথা চিন্তা করছি বলেই তাকে ফিটনেসের ব্যাপারে শতভাগ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শমতো ছয় সপ্তাহেই সুস্থ হয়ে উঠবে কাটার মাস্টার।'

জুলাই মাস থেকে ক্রিকেটের বাইরে রয়েছেন। তিনি নিজেও যেন মাঠে ফিরতে মরিয়া। এর আগে গত ১৫ আগস্ট শনিবার তার ফেসবুক পেজে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, নিউজিল্যান্ড সফরেই ফিরছেন তিনি। তিনি তার ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন ‘fizz will be back in the upcoming series against newzeland!’ সঙ্গে উইকেট উদযাপনের একটি ছবিও দিয়েছেন।

চলতি বছর জুলাই মাসে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন মুস্তাফিজুর রহমান। কাঁধের ইনজুরি সারাতে অস্ত্রোপচার করেন লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে।তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মুস্তাফিজের পুরোপুরি সুস্থ হতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগবে। মুস্তাফিজের ইনজুরির ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের সিরিজে কাঁধের ইনজুরির কারণে দুই ম্যাচ মিস করেন তিনি। ইনজুরির কারণেই মুস্তাফিজ এশিয়া কাপের ফাইনালসহ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও পুরোপুরি খেলতে পারেননি। দেশের মাটিতে মিস করেছেন আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজ।

আপনি আরো পড়তে পারেন

মিরাজের জন্য বাড়ি তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিপিএলে খেলতে আগ্রহী ইংলিশ ক্রিকেটাররা

ভালো খেলার ফল পেলেন মিরাজ

‘ক্রিকেট পাগল’ মেহেদী মিরাজের ওঠে আসার গল্প

মিরাজের সঙ্গে খেলতে চান ড্যারেন স্যামি