রোড সেফটি ফাউন্ডেশন: এবার ঈদযাত্রায় ৩৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৭ প্রাণহানি

এবার ঈদযাত্রায় সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৫ দিনে (৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল) দেশে ৩৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষ। ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার এ চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

আজ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ঈদযাত্রায় ২৪০টি দুর্ঘটনায় ২৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এ হিসাবে এ বছরের ঈদুল ফিতরে দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩৯.২০ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ২০.১৯ শতাংশ। ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় মানবসম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য ১৩৩০ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ৬৩ ও শিশু ৭৪ রয়েছেন, বাকিরা পূর্ণবয়স্ক পুরুষ। ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৬ জন, যা নিহতের ৪২.৫০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৬৮ পথচারী নিহত হয়েছেন, যা নিহতের ১৮.৫২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪১ জন। এ সময় তিনটি নৌদুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭ জন। ১৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন দেশের ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নেই উল্লেখ করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, ‘সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জীবনে নিত্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগের ধারাবাহিকতা নেই। সবকিছু চলছে দায়সারাভাবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে সড়ক পরিবহন খাতের অব্যবস্থাপনার কারণে। এ অবস্থার উন্নয়নে টেকসই সড়ক পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা।