আপনি পড়ছেন

ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনাটি এখনও কাঁটা হয়ে গেঁথে আছে মানুষের মনে। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১১৩৫ জন নিহত এবং আরও ১১৬৯ জন আহত হয়েছিলেন। ঘটনার ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বিচারের আশায় অপেক্ষা করছেন ভুক্তভোগীরা।

rana plaza 1ছবি - সংগৃহীত

হত্যা মামলায় এখনও পর্যন্ত ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৮৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারেরা এখন প্রসিকিউশনের আন্তরিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন।

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমাদ্দার বলেন, বেশ কিছু আসামির পক্ষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে দীর্ঘদিন সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ ছিল। তবে গত এক বছর ধরে নিয়মিত সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, গত জানুয়ারিতে আপিল বিভাগ এই হত্যা মামলার রায় ছয় মাসের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং প্রসিকিউশন শীর্ষ আদালতের নির্দেশনা মেনে কাজ করছে।

মামলার বিবরণ অনুসারে, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ভবন ধসে মোট ১১৩৫ জন নিহত হয় এবং আরও ১১৬৯ জন আহত হয়। ঘটনাটির তদন্তে মোট ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল যার মধ্যে রয়েছে তিনটি ফৌজদারি মামলা। নিহত শ্রমিকদের জন্য একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়া, ভবন নির্মাণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজউকের পক্ষ থেকে একটি মামলা এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগে আরেকটি মামলা আছে।

বর্তমানে হত্যা মামলাটি ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে, ভবন নির্মাণ আইন লঙ্ঘনের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে।

বিচার বিলম্বের কারণসমূহ

হত্যা মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, শুধু তদন্ত প্রক্রিয়াতেই দুই বছর সময় লেগেছে। এতে সরকারি ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়ার অনুমতি পেতেই দেরি হয়ে যায়। সেই সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয় জানায় যে, যারা বড় কোনো অপরাধ করেনি এমন সরকারি কর্মকর্তাদের নাম চার্জশিটে থাকতে দেওয়া হবে না। এর প্রতিবাদে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২০১৬ সালে ওইসব সরকারি কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরের বছর আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়।

তবে মামলার সাত আসামি আদালতের অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান। এর ফলে আদালত বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয়। ফলে পুরো পাঁচ বছর সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়াটি বন্ধ ছিল। ছয় আসামির স্থগিতাদেশ বাতিলের পর গত বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা হয়েছে।

তিনজন চার্জশিটভুক্ত আসামি মারা যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। বর্তমানে আসামির সংখ্যা ৩৮ জন। রানা প্লাজার মালিকের ছেলে সোহেল রানাই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এখন কারাগারে আছেন।

প্রতিক্রিয়া

রানা প্লাজায় আহত হওয়া নিলুফার আক্তার বলেন, ‘আমার মতো অনেক শ্রমিক রানা প্লাজায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পঙ্গু হয়ে গেছি। এই নির্মম ঘটনার ১১ বছর পরও আমরা বিচারের জন্য অপেক্ষা করছি। সত্যিই জানি না কবে সোহেল রানা এবং অন্যদের শাস্তি হবে।’

দুর্ঘটনায় পঙ্গু হওয়া কমপক্ষে পাঁচজন ব্যক্তি বলেন, তারা কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি এবং এজন্য এখন তারা কঠিন সময় পার করছেন। 

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.