ঝিনাইদহে উপনির্বাচনে লড়তে চেয়েও সরে এলেন হিরো আলম

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েও সরে এলেন আলোচিত-সমালোচিত হিরো আলম। আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ওই উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আজ শুক্রবার (৩ মে) মনোনয়নপত্র কিনতে যাওয়ার কথা ছিল তার। তবে শেষপর্যন্ত যাননি, তাকে সাহস বা সমর্থন দেওয়ার মতো কাউকে পাননি। কোনো রিস্কে যেতে চাননি হিরো আলম।

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েও সাহস পেলেন না হিরো আলম

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) আমার মনোনয়ন কিনতে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমি যাইনি। একটা জায়গায় ভোট করতে হলে সেই এলাকার প্রতিনিধি লাগে, লোকজন লাগে। সেখান থেকে কেউ আমাকে বলেনি যে ভাই আপনি আসেন, ভোট করেন আমরা আছি।’

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ওই আসনে ভোট হবে আগামী ৫ জুন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

ইসির তফসিল ঘোষণার পরই বগুড়ার ছেলে হিরো আলম ঘোষণা দেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন তিনি। তবে ভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোট করার মতো সাহস হলো না তার। তাকে সাহস বা সমর্থন দেওয়ার মতো কাউকে পাননি তিনি।

হিরো আলম বলেন, ‘ভোটটা কোন শক্তিতে করব। কার শক্তিতে করব। ওই এলাকার সেই শক্তিটা কে আমার? কেউ আমাকে সাহস দিয়ে বলেনি যে তুমি ভোটটা কর, যত লোকবল লাগে, টাকা-পয়সা লাগে দেব, তুমি আসো। সেরকম কোনো শক্তি আমি পাইনি। তাহলে আমি কেন রিস্ক নেব।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে প্রার্থী হয়ে রাজনৈতিক আলোচনায় আসেন হিরো আলম। এর আগে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর গত বছর জুলাইতে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন হিরো আলম।

রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ওই আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমকে মারধর করা হয়েছিল। ওই ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।