বিশেষ ফোর্স বদরি ৩১৩: বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিল তালেবান

কাবুল দখলের পর সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে তালেবান সদস্যরা। তারা রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে। বেশিরভাগ জায়গায় পরিচিত পোষাকে তালেবানকে এ দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেলেও কিছু কিছু জায়গায় দেখা গেছে পুরোপুরি অত্যাধুনিক এক বাহিনী এ দায়িত্ব পালন করছে। তাদের হাতে-শরীরে আধুনিক সব অস্ত্র। মূলত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কাবুলের যেসব স্থানে বিশেষ নজর দেয়া দরকার সেসব জায়গাতেই দেখা মিলছে তাদের।

কাবুলের রাস্তায় বদরি ৩১৩ ব্যাটালিয়ানের সদস্যদের টহল

জানা গেছে, এরা তালেবানের বিশেষ কমান্ডো ইউনিটের সদস্য। মাত্র ১০ দিনের অভিযানে এত সহজে কাবুল পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার পেছনে এ কমান্ডো দলের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এ বাহিনী। নাম ‘বদরি ৩১৩’।

মুসলিম মাত্রই জানা আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় প্রথম যুদ্ধ বদরে অংশ নিয়েছিলেন ৩১৩ জন সাহাবি। তাদেরকে সাথে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সহস্রাধিক মানুষের মুশরিক দলকে পরাজিত করেছিলেন। সেই থেকে বদর ও ৩১৩ সংখ্যাটি মুসলমানদের জন্য অনেক গৌরবের বিষয় বলে চিহ্নিত। তালেবানের এই ইউনিটটির নামও রাখা হয়েছে সেই বরকতপূর্ণ নাম ও সংখ্যা দিয়ে, বদরি-৩১৩।

বদরি ৩১৩ ব্যাটালিয়ানের সদস্যদের প্রশিক্ষণ

আফগানিস্তানের সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (রহ) সামরিক ক্যাম্প থেকে এ ব্যাটালিয়ানের সদস্যরা উন্নত সামরিক, শারীরিক ও আদর্শিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তালেবানের ‘আল-হিজরাহ স্টুডিও’ জুনেই বদরি-৩১৩ ব্যাটালিয়নের ছবি প্রকাশ করে।

সেখানে তালেবান সদস্যদেরকে বিশেষ সামরিক ক্যামোফ্লেজ ইউনিফর্ম কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে। তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই কমান্ডো বাহিনীর সদস্যরা আফগানিস্তানের সীমান্ত রক্ষা এবং বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবেন।

বদরি ৩১৩ ব্যাটালিয়ানের সদস্যদের প্রশিক্ষণ

ওইসব ছবিতে দেখা যায়, এ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা নানা ধরনের আধুনিক ইকুইপমেন্টে সজ্জিত। রাতে অভিযান চালাতে নাইট ভিশন গগলসও ব্যবহার করছে তারা। কাবুলের রাস্তায় এমন সুসজ্জিত তালেবান সদস্যদের দেখে অনেকেই হতচকিত হয়ে পড়েছেন।

বলা হচ্ছে, অনেক দেশের সেনাবাহিনীর চেয়েও ভালো প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র আছে এসব তালেবার সদস্যদের হাতে। পাকিস্তান ডিফেন্স ওয়েবসাইটের একজন সদস্যের মতে, প্রকাশিত নতুন ছবিতে দেখা যাচ্ছে তালেবানরা পেশাদার আধাসামরিক বাহিনী, যারা পাকবাহিনীর চেয়েও ভালোভাবে সজ্জিত।

সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তালেবান এসব অস্ত্র কোথা থেকে সংগ্রহ করেছে তা বোঝা যাচ্ছে না।